অন্তর্বর্তী আফগান সরকারের সঙ্গে একেবারে লাইন দিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে চিন, রাশিয়া ও পাকিস্তানে বিশেষ দূতেরা। গত ২৪ ঘণ্টায় পর পর এই বৈঠক চলেছে। এমনকী তালিবান অধিগৃহীত আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা হয়েছে। বুধবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়নের মতামত অনুসারে আফগানিস্তানের নয়া জমানার সাপোর্টার হিসাবেই এই তিন রাষ্ট্রকে বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর মঙ্গলবার ও বুধবার এই বৈঠকগুলি হয়েছে।
তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে, গত মাসে একেবারে ঝড়ের গতিতে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবানরা। এরপর থেকে কূটনৈতিকস্তরে পরপর এতগুলি বৈঠক আর হয়নি। এদিকে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথাও ঘোষণা করা হয়। এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও রাষ্ট্রদূতরা দেখা করেছেন। বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি ও অর্থমন্ত্রী হেদায়েতুল্লা বদরির সঙ্গেও দেখা করেছেন রাষ্ট্রদূতেরা। কোন কোন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে?
চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে মানবাধিকার, অর্থনীতি, মানবিকতা ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক কী হবে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তবে তালিবান নেতৃত্ব সন্ত্রাসবাদ ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গেও দেখা করেছেন তাঁরা। আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ব্যাপারে তাঁদের কথাবার্তা হয়েছে। আফগানিস্তানের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে চিন নাক গলাবে না বলেও কথা দিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান, চিন, রাশিয়ার সঙ্গে আফগানিস্তান সম্পর্কে বজায় রাখতে চায় বলেও জোরের সঙ্গে জানিয়েছে, এমনটাই দাবি চিনের।