২০২০ সালে চিনের হয়ে গুপ্তচারবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন সাংবাদিক রাজীব শর্মা। উল্লেখ্য, এই ২০২০ সালের মে মাসেই লাদাখের বুকে চিনা আগ্রাসনের মুখে পড়ে মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারত। গালওয়ানের মল্লযুদ্ধে শহিদ হন বহু ভারতীয় শহিদ। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লি পুলিশের জালে পা দিয়ে ধরা পড়ে সাংবাদিক রাজীব শর্মা। এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট তার ৪৮.২১ লাখ টাকার সম্পত্তি ক্রোক করল। রাজীবের বিরুদ্ধে চিনকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।
দিল্লির পিতমপুরায় রয়েছে রাজীবের একটি বাড়ি। ২০০২ এর আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের আওতায় সেই বাড়িটি ক্রোক করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির তরফে শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে একথা জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহতেই দিল্লি হাইকোর্টের তরফে জামিনে মুক্তি পেয়েছে এই সাংবাদিক। 'অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট'-এর আওতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে চিনের গোয়েন্দা অফিসারদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে যাচ্ছিল। ভারতের নিরাপত্তা ও বিদেশ নীতি সম্পর্কীয় বহু গোপন তথ্য সে চিনের গুপ্তচরদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছল বলে অভিযোগ। এর বিনিময়ে সে চিনা গোয়েন্দাদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও পেয়েছে বলে খবর।
এদিকে, রাজীব শর্মা সম্পর্কে দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইনপুট পেয়ে ইডির তরফে আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করা হয়। নিজের বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, চিনা নাগরিক ঝ্যাং চ্যাং ও ঝ্যাং লিশিয়া, কুইং শি এবং নেপালি নাগরিক শের সিং মিলে একটি ভুয়ো সংস্থা খুলেছিল। মহিবালপুরের সেই সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার বিনিময়ে কাজ করত রাজীব শর্মা। সংস্থার নাম এম জেড ফার্মেসি। ইডি জানিয়েছে নগদের বিনিময়ে তথ্য আদায় করা ছিল এই সংস্থার কাজ। ইডির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'রাজীব শর্মাও টাকা পেয়েছিল বন্ধুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মারফৎ যাতে সে তার যোগাযোগ গোপন রাখতে পারে। টাকা ছাড়াও বিভিন্নভাবে নিজের পারিশ্রমিক আদায় করত রাজীব। তার জন্য বিদেশ ভ্রমণের ট্রিপ আয়োজন করে দিতেন চিনা গোয়েন্দারা।'