জৈন হাওয়ালা কাণ্ড নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। তারইমধ্যে হাওয়ালা কাণ্ড বিষয়টি আবারও জনসমক্ষে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ। সঙ্গে জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুললেন। সঙ্গে পরামর্শ দিলেন, রাজ্যপাল ও আইনজীবী হিসেবে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া উচিত নয় তাঁর।
মঙ্গলবার একটি ভিডিয়োবার্তায় (যে ভিডিয়ো ইতিমধ্যে টুইটারে পোস্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও নেতানেত্রীরা) বর্ষীয়ান সাংবাদিক জানান, সোমবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ধনখড় দাবি করেন যে জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না এবং সমস্ত অভিযুক্তদের রেহাই দেওয়া হয়েছে। বিনীত বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের তরফে যে রেহাই দেওয়া হয়েছিল, তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য আমি তাঁকে আর্জি জানাচ্ছি।’
সোমবার ধনখড়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি দাবি করেন, ধনখড়ের বিরুদ্ধে আগে তদন্ত করা উচিত। কারণ তিনি আদ্যোপান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। ১৯৯৬ সালের জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে তাঁর নাম রয়েছে। চার্জশিটে নাম ছিল কিনা প্রকাশ করারও দাবি তোলেন মমতা। সেই অভিযোগের পালটা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ধনখড় দাবি করেন, জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তার কোনও সত্যতা নেই। একজন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই ধরনের মন্তব্য শোভা পায় না।
যদিও মঙ্গলবার বিনীত অভিযোগ করেন, জৈন ভাইয়ের খাতায় জগদীপ ধনখড়ের (তৃণমূলের প্রকাশিত ভিডিয়োয় জগদীপ ধনখড়, প্রাক্তন মন্ত্রী লেখা আছে) নামে ৫.২৫ কোটি লেখা ছিল। সঙ্গে বর্ষীয়ান সাংবাদিক বলেন, ‘আইনজীবী এবং রাজ্যপাল হিসেবে মিস্টার ধনখড়ের মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া উচিত ছিল না। যখন ট্রায়াল কোর্টে কোনও শুনানি হয়নি এবং পুরো তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের উপর নজরদারিতে চলছিল, তিনি কি প্রমাণ দিতে পারবেন যে জৈন হওয়ালা কাণ্ডে সমস্ত অভিযুক্তকে রেহাই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?’ যে মামলার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন হিজবুল-মুজাহিদিনের যোগও আছে বলে দাবি করেন বিনীত।
তারইমধ্যে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ধনখড়ের হাওয়ালা যোগের বিষয়টি নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে তৃণমূল। সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় দাবি করেন, হাওয়ালাকাণ্ডে জগদীপ ধনখড় নামে এক ব্যক্তির উল্লেখ রয়েছে। সেই ব্যক্তিই রাজ্যপাল কিনা, তা তৃণমূল জানে না। বিষয়টি তদন্তের দাবি তোলেন তিনি।