পঞ্জাবে কংগ্রেসের প্রধান হওয়ার পরই দলের বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী, সাংসদদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন নভজ্যোত সিং সিধু। অনেকের বাড়িতে গিয়েও দেখা করেছেন। তবে যেই অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে সিধুর রেষারেষি ছিল, তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়নি সিধুর। দলের 'জিতেগা পঞ্জাব' নিয়ে বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বললেও অমরিন্দরের সঙ্গে সিধুর সম্পর্ক নিয়ে এখনও চিন্তার রেখা কংগ্রেস হাইকমান্ডের কপালে।
পঞ্জাব কংগ্রেসের মাথায় বসে সিধু টুইট করে লিখেছিলেন, 'কংগ্রেস পরিবারের সবার সঙ্গে মিলে কাজ করব। আমার যাত্রা সবে শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের এক কর্মী হয়ে 'জিতেগা পঞ্জাবে'র মিশনকে পূরণ করব। আমি কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে কৃতজ্ঞ তাঁরা আমার উপর ভরসা রাখায়। আমি কংগ্রেস হাইকমান্ডের ১৮-পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করব।' তবে সিধুর সংজ্ঞায় কংগ্রেস পরিবারে অমরিন্দর রয়েছেন কি না, তা নিয়ে এখনও জল্পনা দূর হয়নি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ জল্পনা কল্পনা, টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন নভজ্যোত সিং সিধু। নয়া নেতা হিসেবে তাঁকে পাওয়ার পর অমৃতসর, পাতিয়ালা ও অন্যান্য জায়গায় সেলিব্রেশনে মাতেন কংগ্রেস সমর্থকরা। ক্রিকেটার-রাজনীতিককে সংগঠন চালাতে সাহায্য করার জন্য চার কার্যনির্বাহী সভাপতিকেও নির্বাচিত করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। যদিও বিশ্লেষকদের একাংশের মত, ক্যাপ্টেনের মন রাখতেই তাঁর অনুগামীদের সেই পদে বসানো হয়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে পঞ্জাবের রাজনীতিতে অবশ্য ছক্কা হাঁকিয়েছেন সিধু। উল্লেখ্য, সিধুকে প্রদেশ সভাপতি পদে আনা নিয়ে দলের অন্দরে কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল গত কয়েকদিনে। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে সিধুর সংঘাত মিটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা চালানোর উপরই বেশি জোর দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সে জন্যই ক্ষোভ প্রশমিত করতে সিধুকে সভাপতি করার পাশাপাশি তাঁর চারজন সাপোর্ট স্টাফও নির্বাচিত করা হয়েছে। সঙ্গত সিং গিলজিয়ান, সুখবিন্দর সিং ড্যানি, পবন গোয়েল ও কুলজিৎ সিং নাগ্রাকে করা হয়েছে কার্যকরী সভাপতি।