প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ‘পাশে’ দাঁড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। অভিযোগ করলেন, নেহরু-গান্ধী পরিবারতন্ত্র কখনওই প্রধানমন্ত্রীর পদকে সম্মান করেনি। এমনকী প্রথম ও দ্বিতীয় ইউপিএ আমলে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাও খর্ব করে দিয়েছিলেন গান্ধীরা।
এমনিতেই মনমোহন সিংকে ‘মৌন’ বলে কটাক্ষ করে এসেছে বিজেপি। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলেও সরকারের রিমোট সোনিয়া গান্ধীর হাতে ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার কার্যত মনমোহনের ‘পাশে’ দাঁড়িয়ে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন নাড্ডা। তাঁর দাবি, রাহুলের নির্দেশে পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়েছে। সেই 'নাটক' অত্যন্ত লজ্জাজনক।
কৃষি আইনের প্রতিবাদে দশেরায় মোদী, বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার কুশপুতুল পুড়িয়েছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষক সংগঠন। তাতেই ক্ষুব্ধ হন নাড্ডা। টুইটারে তিনি বলেন, ‘পঞ্জাবে রাহুল গান্ধীর নির্দেশিত নাটক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা লজ্জাজনক। তবে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত নয়। নেহরু-গান্ধী পরিবারতন্ত্র কখনও প্রদানমন্ত্রীর কার্যালয়কে সম্মান জানায়নি। ২০০৪-২০১৪ সালে ইউপিএ আমলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা খর্ব করার মাধ্যমেও তা দেখা গিয়েছে।’
ভারতে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা নতুন কিছু নয়। একাধিকবার সেই কাজ করেছে খোদ বিজেপি। কয়লা দুর্নীতির অভিযোগে ২০১২ সালে নয়ডায় মনমোহন সিংয়ের কুশপুতুল দাহ করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। ২০০৮ সালে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বারাণসীতে মনমোহনের কুশপুতুল দাহ করেছিল বিজেপি। সেই সময় অবশ্য মনমোহন সিংই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন। নড্ডার দলের নেতা-কর্মীরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কুশপুতুল দাহ করেছেন। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী কুর্সিতে মোদী বলেই ফোঁস করেছেন নাড্ডা?