উত্তরাখণ্ড নির্বাচনেও উঠল বাংলা প্রসঙ্গ। সৌজন্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। উত্তরাখণ্ডে বর্তমানে বিজেপির শাসন। তবে গত কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে বাধ্য হয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই নির্বাচনের আগে এই রাজ্যে বেশ চাপে রয়েছে পদ্ম শিবির। আর তাই সব ধরনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই রাজ্য নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া বিজেপি। আর তাই উত্তরাখণ্ডের শরণার্থী বাঙালি সম্প্রদায়ের দিকে নজর নড্ডাদের। আর সেই বাঙালিদের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলধোনা করলেন নড্ডা। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে সেখানকার বাঙালিদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন জেপি নাড্ডা। সেখানেই তিনি পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার রুদ্রপুরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় উত্তরাখণ্ডের শরণার্থী বাঙালি আবেগ ছুঁয়ে যেতে নড্ডার দাবি, শরণার্থীদের বাংলায় বিজেপি আশ্রয় দিয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রসঙ্গও তোলেন নড্ডা। এরপর মমতার নামে নালিশের সুরে নড্ডা বলেন, 'বাংলা এখন খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ওখানে দুর্নীতি হচ্ছে, রাজনৈতিক শত্রুতা চলছে, হেনস্তা করা হচ্ছে এবং নৈরাজ্য চলছে।' এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে নড্ডা জানান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিরোধী বিজেপি অভিযোগ করে এসেছে শাসকদলের সন্ত্রাসের বিষয়ে। বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রসঙ্গটি গড়িয়েছএ আদালাত পর্যন্ত। সেখান থেকে এই অভিযোগগুলির তদন্তভার উঠেছে সিবিআইয়ের হাতে। এদিন বাঙালি মুখ্যমন্ত্রীর নামে নালিশ করতে তাই দেবভূমির বাঙালিদেরকে সেই বিষয় নিয়েই বললেন নাড্ডা। তবে উত্তরাখণ্ডে নড্ডার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি এখনও।