চোর ধরতে গিয়ে পুলিশ খোদ মহিলা বিচারককেই গ্রেফতার করে ফেলল।এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়েছে উত্তরপ্রদেশের এক আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ মার্চ। আদালতে একটি চুরির মামলার শুনানি চলছিল। অভিযুক্ত রাজকুমার ওরফে পাপ্পু পলাতক। তাই বিচারক নাগমা খান, যিনি এই মামলার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সিআরপিসি ধারা ৮২ অনুযায়ী ঘোষণাপত্র জারি করেছিলেন। আর এই নির্দেশ পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট থানায়, যাতে পুলিশ অভিযুক্তকে খোঁজ করে আদালতে হাজির করে।
আরও পড়ুন-'পুলিশ ডাকো!' নয়ডার আবাসিক কমপ্লেক্সে চুলোচুলি দুই মহিলার, ভিডিও ভাইরাল
কিন্তু বিপত্তির সূত্রপাত ফিরোজাবাদ থানার সাব-ইনস্পেক্টর বনোয়ারিলালকে কেন্দ্র করে। বিচারকের জারি করা ঘোষণাপত্রটিকে তিনি ভুলবশত নন-বেলেবল ওয়ারেন্ট বলে ধরে নেন। আর যেখানে অভিযুক্তের নাম লেখার কথা ছিল, সেখানে তিনি লিখে ফেলেন স্বয়ং বিচারকের নাম নাগমা খান। এরপর পুলিশ গিয়ে হাজির হয় স্বয়ং বিচারক নাগমা খানের ঠিকানায় তাঁকে গ্রেফতার করতে। ২৪ মার্চ যখন মামলাটির শুনানি চলছিল, তখন বিচারক নাগমা খান নিজেই ওই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর তখনই পুলিশ স্পষ্ট জানায় অভিযুক্ত নাগমা খান আদালতে অনুপস্থিত। আর এই কথা শুনে গোটা আদালত বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। বিচারক তখনই পুরো বিষয়টিকে স্পষ্ট করেন এবং পুলিশকে চরম ভর্ৎসনা করেন।
আরও পড়ুন-'পুলিশ ডাকো!' নয়ডার আবাসিক কমপ্লেক্সে চুলোচুলি দুই মহিলার, ভিডিও ভাইরাল
বিচারক বলেছেন, 'এটি অন্যতম লজ্জাজনক ঘটনা। সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকদের মধ্যে আদালতের নির্দেশ বোঝার মত সামান্য জ্ঞানটুকুও নেই। কে আদেশ দিয়েছেন আর আদেশটি কার বিরুদ্ধে তাও তারা বুঝতে পারেনি।অভিযুক্তকে খুঁজে বার করার নির্দেশ ছিল ৮২ ধারা অনুযায়ী। কিন্তু পুলিশ সেটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছে এবং যার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তার বদলে তিনি বিচারককেই খুঁজতে গিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, যদি পুলিশ আধিকারিকরা তাঁদের অন্যায় এড়িয়ে যায়, তাহলে তাঁরা ইচ্ছা অনুসারে যে কারও স্বাধীনতার মূল্যবান মৌলিক অধিকার পদদলিত করবে।তথ্যগুলি স্পষ্ট করে যে বনোয়ারিলাল আদালতের প্রক্রিয়ায় কোনও মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেননি। অন্যদিকে, এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে। তাঁদের আইনি জ্ঞান এবং দক্ষতা নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ।