১২ দিনে অন্তত ১৬জন হত্যা করেছে একটি দাঁতাল হাতি। ভয়াবহ ঘটনা ঝাড়খণ্ডে। ঝাড়খণ্ডের পাঁচ জেলায় কার্যত তাণ্ডব চালায় হাতিটি। রাঁচির একটি নির্দিষ্ট এলাকাতেই অন্তত চারজনকে পিষে দেয় হাতিটি। এবার ইতকি ব্লক এলাকায় পুলিশ এনিয়ে ১৪৪ ধারাও জারি করেছে। রাঁচি বিভাগীয় বনাধিকারিক শ্রীকান্ত ভার্মা জানিয়েছেন, পাঁচজনের বেশি মানুষ একযোগে বেরতে পারবেন না। এটা নিশ্চিত করা দরকার। হাতির হানা থেকে বাঁচার জন্যই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, সুর্যোদয় আর সূর্যাস্তের সময় কেউ বাড়ির বাইরে বের হবেন না। সবাই ঘরের মধ্যে থাকবেন। হাতির কাছাকাছি একদম যাবেন না। বনাধিকারিক জানিয়েছেন,গ্রামবাসীরা সব হাতির কাছে জড়ো হয়ে যাচ্ছিলেন। তাদেরকে আটকানোর জন্য ইতকি ব্লকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বনদফতর হাতি তাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিমও ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হয়েছে। হাতিকে কাবু করতে এই টিম গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। সব মিলিয়ে ১৬জনকে হত্যা করেছে হাতিটি। হাজারিবাগ, রামগড়, ছাতরা, লোহারডগা, রাঁচি জেলায় এই হাতির তাণ্ডব হয়েছে। প্রিন্সিপাল চিফ কনসার্ভেটর অফ ফরেস্ট( ওয়াইল্ডলাইফ) শশীকর সামন্ত একথা জানিয়েছেন।
বনাধিকারিক জানিয়েছেন, চারটি ডিভিশনের আধিকারিকদের নিয়ে আমরা কমিটি তৈরি করেছি। রাঁচি কনসার্ভেটর অফ ফরেস্ট রয়েছেন এই টিমের নেতৃত্বে। কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে একটি হাতিই কি ১৬জনকে মেরে ফেলেছে। যদি কমিটি সেটা নিশ্চিত করে তবে এক দুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন বনাধিকারিক।
কিন্তু হাতিটি কেন এভাবে একের পর এক মানুষকে পিষে দিচ্ছে, শুঁড়ে তুলে আছাড় মারছে সেটা জানার চেষ্টা করছে বনদফতর। রাঁচি ডিএফও জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে হাতিটি ১২দিন আগে হাজারিবাগে ৫জনকে পিষে মেরেছে। এরপর এটি রামগড়ে চলে যায়। গোলা এলাকায় সেটি একজনকে পিষে মেরে ফেলে। এরপর ছাতরা এলাকায় সেটি গিয়ে আবার আর একজনকে মেরে ফেলে।
তবে বনদফতরের কাছে এখন বড় প্রশ্ন একটা হাতিই কি এই ভাবে একের পর এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলছে? একাধিক ছবি দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে বনদফতর। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া থেকে একটি হাতি তাড়ানোর টিম গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। তারাই হাতিটিকে গভীর জঙ্গলে ফেরৎ পাঠাতে চাইছেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup