বহু পুরনো গাড়িটায় আর দাম পাচ্ছেন না? ফিটনেস টেস্ট-এও বেহাল দশা? চিন্তা নেই। কেন্দ্রের নয়া আইনে এবার পুরনো গাড়ি স্ক্র্যাপ করুন। আর তার বদলে নতুন গাড়ি কেনার সময়ে পান ৫% ছাড়।
Voluntary Vehicle Scrapping Policy -র ঘোষণা কেন্দ্রীয় বাজেটেই করেছিল সরকার। এবার সেটাই বাস্তবায়িত করার কথা বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি।বাজেটে ঘোষিত নয়া নীতি অনুযায়ী যে কোনও ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি ২০ বছর পর ফিটনেস টেস্ট করা আবশ্যিক। কমার্শিয়াল গাড়ির ক্ষেত্রে আরও কম সেই সময়সীমা- ১৫ বছর।
এ ধরণের এত পুরনো গাড়ি সাধারণত জলের দরে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন মালিকরা। নতুন গাড়ি পুরো দামেই কিনতে হয়। তবে, এবার থেকে আসছে বদল।
'শুধু নতুন গাড়ি কেনার সময়ে ছাড়ই নয়। এই নয়া আইনরে চারটি দিক রয়েছে,' জানালেন গড়কড়ি। কী কী দিক? 'গ্রিন ট্যাক্স ও অন্যান্য লেভিও ধার্য করা হয় পুরনো বায়ুদূষণকারী গাড়িতে। পুরনো গাড়িগুলির ফিটনেস টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। করাতে হবে পলিউশান টেস্টও। এর জন্য দেশজুড়ে অটোমেটেড টেস্টিং সেন্টারও গড়ে তোলার কাজ চলছে,' জানালেন তিনি।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ, অর্থাত্ বেসরকারি-সরকারি যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা হবে অটোমেটেড টেস্টিং সেন্টারগুলি। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের পুরনো গাড়ি স্ক্র্যাপিং-এর সেন্টারগুলির সঙ্গেও কাজ করা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, নয়া নীতিতে অটোমোবাইল সেক্টর অনেক সুবিধা লাভ করবে। স্ক্র্যাপ মেটেরিয়ালের পাশাপাশি, নয়া গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধির ফলে এই ক্ষেত্রে অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে বলে দাবি করেন তিনি। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এটি অটোমোবাইল ক্ষেত্রকে নয়া শক্তি জোগাবে বলে জানালেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমী দেশগুলিতে গাড়ি স্ক্র্যাপিং করার অভ্যাস বহু পুরনো। পুরনো গাড়ি রেস্টোরেশনের পর্যায়ে না থাকলে সেগুলিকে স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডে কম দামে বিক্রি করেন গাড়ি মালিকরা। সেখান থেকে গাড়িগুলি রিসাইকেল করা হয়।