অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ভারতের নয়া প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামী ৯ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলাবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় টুইটারে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, 'ভারতীয় সংবিধানের প্রদত্ত ক্ষমতার ভিত্তিতে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে (Justice D Y Chandrachud) ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন (বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়)।'
গত ১১ অক্টোবর বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। যিনি মাত্র ৭৪ দিন দেশের প্রধান বিচারপতি থাকছেন। তবে বিচারপতি চন্দ্রচূড় দু'বছর দেশের প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব সামলাবেন। ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন তিনি।
বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের কেরিয়ার
নয়াদিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হয়েছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। কলেজ ল আমেরিকার হার্ভার্ড ল' স্কুল থেকে এলএলএম ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেছিলেন এবং জুরিডিকাল সায়েন্সে ডক্টরেট করেছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
আরও পড়ুন: Justice DY Chandrachud: ‘তারিখ পে তারিখ...’, বলিউড সংলাপ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মুখে!
১৯৯৮ সাল থেকে ভারতের অ্যাডিশনাল সলিসিটির জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই বছর জুনে বম্বে হাইকোর্টের আইনজীবী হয়েছিলেন। ২০০২ সালের ২৯ মার্চ বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে ৩১ অক্টোবর থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তারপর ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হন।
বাবার রায় খারিজ বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের
২০১৮ সালে বাবা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের রায় খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ৩৬ বছর আগে ব্যভিচার নিয়ে তাঁর বাবা যে রায় দিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা যে রায় দিয়েছিলেন, তা সাংবিধানিক দিক থেকে সঠিক অবস্থান নয়।
সেই রায়ের এক বছর আগে বাবার আরও একটি রায় খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ২০১৭ সালের অগস্টে গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে রায় দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, ১৯৭৬ সালের এডিএম জব্বলপুর মামলায় যে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তাতে গুরুতর ফাঁক ছিল।