সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার জেরেই কি তড়িঘড়ি টিকানীতিতে সংশোধন করল কেন্দ্র? সোমবার বিকেল থেকেই একটি মহল থেকে এমনই প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীরা তো সরাসরি আক্রমণও শানিয়েছেন। যদিও কেন্দ্রের দাবি, গত ১ মে থেকেই বিকেন্দ্রীভূত টিকাকরণ নিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের উদ্বেগের বিষয়টিকে সম্মান করি। কিন্তু গত ১ মে থেকে বিকেন্দ্রীভূত টিকাকরণ নিয়ে মূল্যায়ন করছিল ভারত সরকার। বিশ্লেষণ ও আলোচনার ভিত্তিতে একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
গত ১ মে থেকে ১৮-৪৪ বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়। সেইসঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছিল, টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে ২৫ শতাংশ টিকা কিনতে পারবে রাজ্য সরকারগুলি। ২৫ শতাংশ টিকা কেনার সুযোগ পাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। বাকি ৫০ শতাংশ টিকা কেন্দ্রের জন্য থাকবে। কিন্তু সেই দফায় টিকাকরণ শুরুর পর থেকে দেশজুড়ে প্রতিষেধকের আকাল দেখা দেয়। কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।
সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার জেরেই কি তড়িঘড়ি টিকানীতিতে সংশোধন করল কেন্দ্র? সোমবার বিকেল থেকেই একটি মহল থেকে এমনই প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীরা তো সরাসরি আক্রমণও শানিয়েছেন। যদিও কেন্দ্রের দাবি, গত ১ মে থেকেই বিকেন্দ্রীভূত টিকাকরণ নিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের উদ্বেগের বিষয়টিকে সম্মান করি। কিন্তু গত ১ মে থেকে বিকেন্দ্রীভূত টিকাকরণ নিয়ে মূল্যায়ন করছিল ভারত সরকার। বিশ্লেষণ ও আলোচনার ভিত্তিতে একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
গত ১ মে থেকে ১৮-৪৪ বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়। সেইসঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছিল, টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে ২৫ শতাংশ টিকা কিনতে পারবে রাজ্য সরকারগুলি। ২৫ শতাংশ টিকা কেনার সুযোগ পাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। বাকি ৫০ শতাংশ টিকা কেন্দ্রের জন্য থাকবে। কিন্তু সেই দফায় টিকাকরণ শুরুর পর থেকে দেশজুড়ে প্রতিষেধকের আকাল দেখা দেয়। কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। |#+|
তারইমধ্যে গত ২ জুন সুপ্রিম কোর্টে রীতিমতো ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রকে। শীর্ষ আদালত জানায়, ৪৫ বছরের বেশি জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণ এবং তার নীচের বয়সসীমার নাগরিকদের জন্য টাকার বিনিময়ে টিকার নীতি খামখেয়ালি ও অযৌক্তিক। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, 'দেখা যাচ্ছে, ১৮ থেকে ৪৪ বছরের ব্যক্তিদের জন্য টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি। এর আগে টিকাকরণের প্রথম দু'টি পর্যায়ে বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ১৮-৪৪ বয়সিদের জন্য টাকার বিনিময়ে টিকার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে টাকা দিয়ে টিকা কিনতে বলা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও টাকার বিনিময়ে টিকাকরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা অযৌক্তিক এবং খামখেয়ালি।'
যদিও সোমবার টিকাকরণ নীতি সংশোধনের সময় রাজ্যের ঘাড়ে যাবতীয় দায় ঠেলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার সরকারিভাবে সংশোধিত টিকাকরণ নীতির নির্দেশিকা প্রকাশের সময়ও একই কাজ করা হয়। যদিও বিরোধীদের পালটা দাবি, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে দাবি করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার জেরেই রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকী টুইটারে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ট্রেন্ডও হন। যিনি করোনা সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সদস্য।