ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিচারপতি চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। যিনি ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বভার সামলাবেন।
গত মাসেই বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে নিজের উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত। যিনি মাত্র ৭৪ দিন ভারতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তাতে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। তারপর আজ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
আরও পড়ুন: খুব তৃপ্তি নিয়ে যাচ্ছি, বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের হাতে ব্যাটন তুলে দিচ্ছেন CJI Lalit
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের জীবন
- ১৯৫৯ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর বাবা ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৭৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়।
- ১৯৯৮ সাল থেকে ভারতের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
- ১৯৯৮ সালের জুনে বম্বে হাইকোর্টের আইনজীবী হয়েছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
- ২০০২ সালের ২৯ মার্চ বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
- ২০১৩ সাল থেকে ৩১ অক্টোবর থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
- ২০১৬ সালের ১৩ জুন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
- ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
বাবার রায় খারিজ
১) ২০১৭ সালের অগস্টে গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে রায় দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি জানিয়েছিলেন, ১৯৭৬ সালের এডিএম জব্বলপুর মামলায় যে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তাতে গুরুতর ফাঁক ছিল।
২) ২০১৮ সালে বাবা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের রায় খারিজ করে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ৩৬ বছর আগে ব্যভিচার নিয়ে বিচারপতি যে রায় দিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড় যে রায় দিয়েছিলেন, তা সাংবিধানিক দিক থেকে সঠিক নয়।