বলিউড সিনেমা ‘দামিনী’-তে সানি দিওলের বিখ্যাত সংলাপ ‘তারিখ পে তারিখ...’ এই সংলাপই শোনা গেল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মুখে। শুক্রবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এক পক্ষের আইনজীবী শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। এর প্রেক্ষিতেই বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট তারিখ পে তারিখ আদালতে যাতে পরিণত না হয়।’ (আরও পড়ুন: অনলাইন-ডিস্টেন্স কোর্সে পাওয়া ডিগ্রি কি রেগুলার কোর্সের সমতূল্য? বড় ঘোষণা UGC-র)
একটি মামলার শুনানি স্থগিত করার আবেদন করেছিলেন আইনজীবী৷ সেই আবেদন খারিজ করেন দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ। সুপ্রিম বেঞ্চের তরফে আইনজীবীকে বলা হয়, পরবর্তী তারিখে শুনানির দাবি জানানোর বদলে আজই সওয়াল জবাব করতে হবে৷ বেঞ্চ জানায়, বিচারপতিরা তাঁদের কাছে আসা মামলার জন্য নিজেদের তৈরি করেন৷ এদিকে আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে মামলা স্থগিতের আবেদন চান৷ ভর্ৎসনা করে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত যে আইনজীবীরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এসেছেন৷
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘মামলার ফাইল পড়তে আমাকে ভোর সাড়ে তিনটায় ঘুম থেকে উঠতে হয়। বিচারকরা কঠোর পরিশ্রম করছেন কিন্তু আইনজীবীরা তাঁদের মামলায় সওয়াল জবাব করতে রাজি নন। এভাবে কাজ করা যায় না।’ দুই বিচারপতি ওই আইনজীবীকে সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারার কথা স্মরণ করায়। এই ধারায় মৌলিক অধিকার প্রয়োগ প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করার কথা বলা আছে৷ বেঞ্চ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলে, ‘এই ধরনের তুচ্ছ মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টকে কাজ ঠিকমতো কাজ করতে দিচ্ছে না৷ তাই এবার একটা কড়া বার্তা দেওয়ার সময় এসেছে৷ এরকম মামলার পিছনে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় দেওয়ার ফলে আসল মামলার বিচার হচ্ছে না, অনেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷’