দেশ পালন করছে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের পূর্তি উৎসব। আর দেশের বিচারব্যবস্থা সেই সঙ্গে আগের থেকে এগিয়ে গিয়েছে আরও দ্রুততার সঙ্গে। তবে বর্তমানে দেশে পড়ে থাকা মামলার সংখ্যা বড়সড় উদ্বেগ তৈরি করে দিয়েছে। যাতে এই মামলাগুলির সংখ্যা কমতে থাকে, তার জন্য বার্তা দিলেন দেশের আগামি দিনে প্রধান বিচারপতি হতে চলা উদয় উমেশ ললিত।
আগামী ২৭ অগস্ট তিনি দেশের ৪৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন। উদয় উমেশ ললিত বলছেন, দেশের পড়ে থাকা মামলার সংখ্যা কমাতে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারে। কারণ পড়ে থাকা মামলার রায় নিয়ে যেমন বাদি বিবাদি দুই পক্ষীই অপেক্ষায় থাকে, তেমনই নতুন মামলা সহজে জায়গা করে নিতে পারছে না। বিচারপতি বলছেন, 'যখন একটি ফৌজদারি আপিল সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকে, তখন এটি তৃতীয় মামলার জন্ম দেয়। জামিন ও অন্যান্য বিবিধ ক্ষেত্রের আবেদন থাকবে। সুতরাং, একটি বিচারাধীন বিষয় বিভিন্ন স্তরে আরও মামলার জন্ম দেবে। তাই সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।' আর কয়েকদিন বাদেই তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন। সেই নিয়ে স্বভাবতই উৎফুল্ল তিনি। বলছেন কতটা আনন্দিত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী অমিতা ললিত। শঙ্খধ্বনি ছিল সংকেত, এসেছিলেন নেতাজি! প্রাক স্বাধীনতাযুগে এই আশ্রমে কী ঘটত?
সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে ইউ ইউ ললিতের ভাবনা কী? সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি সর্বদা বিশ্বাস করি যে সুপ্রিম কোর্টের মৌলিক কাজ হল আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধানকে এমন স্পষ্টতার সাথে ব্যাখ্যা করা যে এটি প্রত্যেকের অনুসরণ করার জন্য একটি নির্দেশিকা হয়ে ওঠে। তিনি বলছেন,সুতরাং, সাংবিধানিক বেঞ্চের বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া উচিত। জোর দেওয়া উচিত যা বিবেচনার মুলতুবি রয়েছে তার ওপরেও। আমি এটাও বিশ্বাস করি যে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি বিচারপতির কমপক্ষে দুই বা তিনটি সাংবিধানিক বেঞ্চের সাথে যুক্ত হওয়া উচিত।'