পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদের জন্য কে, কতটা দায়ী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, চার সদস্যের কমিটিতে থাকবেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) আইজি, পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং পঞ্জাব পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি। সেই কমিটি খতিয়ে দেখবে যে পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদের জন্য কে, কতটা দায়ী। সেইসঙ্গে সুরক্ষার জন্য কী সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিদের নিরাপত্তার সংক্রান্ত কোনও পরামর্শ দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে কমিটি কাজ করবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
কী কারণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাও স্পষ্টভাবে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যে বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আছেন বিচারপতি সূর্য কন্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলি। শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘একতরফা তদন্তের জন্য এই প্রশ্নগুলি ছেড়ে রেখে দেওয়া যায় না। বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে জ্ঞান থাকা এবং হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে স্বাধীনচেতা মনোভাব থাকা বিচারবিভাগীয় দিক থেকে প্রশিক্ষিত ব্যক্তির প্রয়োজন আছে।’
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি পঞ্জাবে একগুচ্ছ কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেজন্য সকালে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে নামেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভাতিন্দা থেকে হেলিকপ্টারে জাতীয় শহিদ মেমোরিয়ালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি এবং কম দৃশ্যমানতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ২০ মিনিটে অপেক্ষা করেও আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় মোদীক সড়কপথে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা দু'ঘণ্টার বেশি লাগবে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আশ্বস্ত করেন পঞ্জাব পুলিশের ডিজি। কিন্তু জাতীয় শহিদ মেমোরিয়ালের ৩০ কিলোমিটার আগে একটি উড়ালপুলে দেখা যায়, রাস্তা আটকে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। সেই উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। যা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় গলদ। সেই বিষয়টি আদালতে গড়ায়। তারইমধ্যে তদন্তের জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে কেন্দ্র এবং রাজ্য। দুটি কমিটিকেই সুপ্রিম কোর্ট কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে স্বাধীন কমিটি গঠন করেছে।