কানাডার প্রাইমমিনিস্টার জাস্টিন ট্রুডো সদ্য সোমবার ঘোষণা করেছেন যে, কানাডা এবার সেদেশে অবস্থিত স্বল্প আয়ের অস্থায়ী বিদেশি কর্মীর সংখ্যা কাটছাঁট করতে চলেছে। স্বভাবতই ঘটনা ঘিরে ট্রুডো সরকারের অভিবাসন নীতি নিয়ে বহু জল্পনা শুরু হয়েছে। এমনকি সেদেশে স্থায়ী বসবাসকারীর সংখ্যা নিয়েও তাঁর সরকার ভাবছে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সামনের বছরই কানাডায় ভোট। তার আগে, সেদেশে ট্রুডো সরকারের অভিবাসন নীতি নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে। একটা বড় অংশের কানাডার মানুষ মনে করছেন, কানাডা অনেক বেশি সংখ্যক অভিবাসী আনছে। যা ঘিরে কিছুটা চাপে সেদেশে ট্রুডো সরকার।
জাস্টিন ট্রুডো বলেন,'কানাডা এমন একটি জায়গা যেখানে অভিবাসনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মানসিকতা রাখা হয়'। তিনি একই সঙ্গে বলেছেন,'কানাডায় আসা প্রত্যেকের সাফল্যের পথ নিশ্চিত' করতে চাইছে কানাডা। কানাডার অভিবাস, উদ্বাস্তু ও নাগরিকত্ব বিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, অভিবাসন নীতি নিয়ে 'শুধুমাত্র জনমতের সাথে মোকাবিলা করার জন্য ওপর ওপর পরিবর্তন নয়। বাস্তবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন' করার কথা বলছেন তিনি। মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে ট্রুডো বলেছেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যসেবা, নির্মাণ এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো নির্দিষ্ট কিছু শিল্পে ব্যতিক্রম সহ কানাডায় স্বল্প বেতনের, অস্থায়ী বিদেশী কর্মীদের সংখ্যা হ্রাস করার জন্য নিয়মগুলি কড়া করছি এবং যোগ্যতা সীমাবদ্ধ করছি।’ উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে হু হু করে কানাডায় বেড়েছে অভিবাসীদের সংখ্যা। এই সংখ্যা নামানোর জন্য কানাডার ওপর বেশ চাপ বাড়ছিল। তিন বছরে কানাডার মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ কমানোর চেষ্টায় ছিল ট্রুডো সরকার। এপ্রিলে এই সংখ্যা ছিল ৬.৮ শতাংশ। ব্যাঙ্ক অফ কানাডার হিসাব বলছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
( এই ৪ রাশির উপর সব সময় বজরংবলির আশীর্বাদ থাকে! আপনার রাশি এই তালিকায় আছে কি? দেখে নিন)
উল্লেখ্য, বেকারত্ব নিয়ে বেশ কিছু উদ্বেগ কানাডায় তৈরি হচ্ছে বলে বহু মিডিয়া রিপোর্টে জানা যাচ্ছে। এরপরই সোমবার কানাডার সরকার দেশের কর্মশক্তির ওপর জোর দেওয়ার বিষয়ে বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে। সরকার আরও ইঙ্গিত দিয়েছে যে ব্যবসাগুলি যাতে তরুণ, নবীন এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সহ গার্হস্থ্য শ্রমশক্তিকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করে তা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপও চালু করা হবে।