তাঁর রাজনৈতিক দল লিবারাল পার্টির অন্দরেই এবার জোরালো হচ্ছে ট্রুডো বিরোধী হাওয়া! এমনই দাবি করছে, বেশ কিছু রিপোর্ট। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সদ্য বহু লিবারাল সাংসদ মুখ খুলেছেন ট্রুডোর বিরুদ্ধে। রিপোর্ট বলছে, ট্রুডকে ঘিরে তাঁরই দলের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে কানাডার উপ প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিলান্ডের পদত্যাগ ঘিরে।
সদ্য ক্রিস্টিয়া তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এর আগে, প্রায় কয়েক দশক ধরে তিনি ট্রুডো সরকারে ছিলেন। কানাডার আমদানিতে ২৫ শতাংশ টারিফ লাগু করার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুমকির জেরে, ট্রুডোর সঙ্গে ফ্রিল্যান্ডের সংঘাত দানা বাঁধে বলে খবর প্রকাশ্যে আসে রিপোর্টে। এদিকে, ফ্রিল্যান্ডের ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই লিবারাল পার্টির অন্দরে ট্রুডোর বিরুদ্ধে অনেকেই সরব হতে শুরু করেছেন। ওট্টাওয়ার সাংসদ, চন্দ্র আর্য বলেছেন,‘ককাসের একটা বড় অংশ মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীর এবার সরে যাওয়া উচিত।’ উল্লেখ্য, লিবারাল সাংসদদের সদ্য একটি বৈঠক হয়। ওন্টরিওতে এই বৈঠক হয়েছে। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট বলছে, সেই বৈঠকে ৫০ থেকে ৭৫ জন সাংসদ জানিয়েছেন তাঁদের আর ট্রুডোর প্রতি সমর্থন নেই। কিউবেকের সাংসদ অ্যান্টনি হাউস ফাদার বলছেন, ‘ প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া উচিত। উনি থাকলে আমরা খারাপ পরিস্থিতিতে পড়ব।’ হাউস ফাদারের সাফ কথা, ট্রুডো যদি কানাডার প্রধানমন্ত্রী থাকেন, তাহলে পার্টি বড় ধাক্কা খাবে আসন্ন নির্বাচনে। আপাতত যা খবর, তাতে ২০২৫ সালে কানাডয় ভোট। তবে ট্রুডোকে ঘিরে দলেই যা অসন্তোষ, তাতে ভোট এগিয়ে আসতে পারে বলে বহু রিপোর্টের দাবি।
এদিকে, আগামী দিনে কী করণীয়, তা নিয়ে নিজের পরামর্শদাতাদের সঙ্গে কথা বলছেন জাস্টিন ট্রুডো। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, আগামী দিনে আরও কিছু রদবদল ট্রুডো সরকারে আসতে পারে। এদিকে, নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা জগমীত সিং দাবি করছেন, পরের বছরের ভোটে ট্রুজোর মসনদ টলিয়ে দিতে তাঁরা তৈরি হচ্ছন। এর আগে, এই পার্টি ট্রুডোর আনাস্থার বিরোধিতা করেছিল। এবার তারাই ট্রুডোর বিষয়ে বেসুরো। ফলে ঘরে বাইরে বেশ কিছুটা চাপের মুখে কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।