নমাজের কাবুলের মসজিদে বিস্ফোরণ। ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে আল জাজিরা। আবার সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে বুধবার উত্তর কাবুলের একটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের জোরালো আওয়াজ শোনা যায়। আশপাশের বাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স। কাবুলের এমার্জেন্সি হাসপাতালের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ২৭ জন আহতকে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত হয়েছে সাত বছরের এক বালকও।
তবে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ জানিয়েছে যে অনেক হতাহতের খবর মিলেছে। কবে নির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা বলা হয়নি। কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জারদান বলেছেন, ‘মসজিদের ভিতরে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণে (অনেকে) হতাহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত।’
তারইমধ্যে অসমর্থিত সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে যে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০। তবে পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তালিবানের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বোমা বিস্ফোরণে মসজিদের ইমামেরও মৃত্যু হয়েছে। অপর এক আধিকারিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে এসেছে গোয়েন্দা দল। সূত্র উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে তালিবান সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়। বিস্ফোরণের দায়ও আপাতত কোনও গোষ্ঠী স্বীকার করেনি বলে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।