অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। দেশ জুড়ে যুব সমাজের মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এই প্রকল্পের বিরোধিতায় শুরু হওয়া আন্দোলন হিংসাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই আবহে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় অগ্নিবীরদের চাকরি দেওয়া নিয় বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন। তিনি বলেন, বিজেপি অফিসে যদি কোনও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হয়, তাহলে অগ্নিবীরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যেখানে আন্দোলনরত যুব সমাজকে শান্ত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্নিবীরদের নামে সংরক্ষণ ঘোষণা করছে বিভিন্ন মন্ত্রক, সেখানে এই নিয়োগে রাজনৈতিক রঙ লাগায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপি অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'সেনার প্রশিক্ষণে প্রথমে আসে শৃঙ্খলা, দ্বিতীয়ত আসে নির্দেশ পালনের অনুশাসন। যখন তারা (অগ্নিবীর) প্রশিক্ষণ নেবে এবং চার সালের সেবার পর সেনা থেকে বের হবে... সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছর বয়সের মাঝে... কেউ যদি ২১ বছরেও ঢোকে তাহলে ২৫ বছর বয়সে সে সেনা ছেড়ে বের হবে। ২৫ বছর বয়ে যখন সে বের হবে সেনা থেকে, তখন তার হাতে ১২ লাখ টাকা হবে। বুকে অগ্নিবীরের তকমা লাগিয়ে সে ঘুরতে পারবে। যে কোনও অফিসে... যদি এই বিজেপির অফিসেই আমাকে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হয়, তাহলে আমি অগ্নিবীরকে অগ্রাধিকার দেব। আপনাদেরও নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করতে হলে তাদের অগ্রাধিকার দিতে পারেন।'
কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, সরকার কী তবে সব অগ্নিবীরদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছে না? অগ্নিবীররা দেশের সেবা করার পর কি শেষ পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের নিরাপত্তারক্ষী হয়ে কাজ করবেন? এদিকে অগ্নিবীরদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসের চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে অগ্নিবীরদের জন্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফেও ঘোষণা করা হয়, উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে ১৬টি সংস্থার চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে অগ্নিবীরদের জন্য। এই সংরক্ষণের ঘোষণার আবহে কৈলাস বিদয়বর্গীয় বিজেপি অফিসের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে অগ্নিবীরদের নিয়োগ করা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন।