মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে ‘ধনীদের দালাল হিসাবে কাজ করার’ অভিযোগ করার পরে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, শিবরাজ চৌহান ধনীদের দালাল। উনি গরিবদের জন্য কাজ করেন না, সেই কারণেই তাঁকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মন্তব্যের পর বিজেপির তরফে কড়া জবাব দিয়ে সাংসদকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত এই রাজ্যের জন্য এমজিএনআরইজিএ, পিএমএওয়াইজি-র মতো প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় তহবিল গত তিন বছর ধরে বকেয়া রয়েছে। বিজেপি সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেন তিনি।
শিবরাজ সিং চৌহান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরো বাংলার বিরুদ্ধে কাজ করেন । তারা সেখানে( বাংলায়) সরকার গঠন করতে চেয়েছিলেন এবং ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে তারা কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিজেপি নেতারা বলছেন, বাংলাকে টাকা দেবেন না।
বকেয়া পাওয়া দিতে দেরি হওয়ার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তৃণমূলেের সঙ্গে শামিল হয়েছিল ডিএমকে, ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির
লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প এমজিএনআরইজিএ-র জন্য কয়েকটি রাজ্যকে টাকা দিতে দেরি হওয়ার প্রতিবাদে তৃণমূলের কর্মসূচিতে যোগ দেয় ডিএমকে। আন্দোলনের জেরে স্পিকার ওম বিড়লা দুপুর ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন৷ বিজেপি তৎক্ষণাৎ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেয়৷ কৃষি প্রতিমন্ত্রী ভগীরথ চৌধুরী দাবি করেন শিবরাজ সিং চৌহানের বিরুদ্ধে 'অবমাননাকর' ভাষা ব্যবহারের জন্য সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান৷
ভগীরথ চৌধুরী অর্থ প্রদানে বিলম্বের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন যে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহারের জন্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
'এটি একটি ভাল জিনিস নয়; একজন সিনিয়র সাংসদের এমন ভাষা তার শোভা পায় না। প্রধানমন্ত্রী মোদী 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' নীতিতে কাজ করছেন। কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে কোনও বৈষম্য করা হয়নি, প্রত্যেকেই নিজের ভাগ পাচ্ছেন।
দুর্ভাগ্যবশত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়। একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা ঠিক নয়। কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
লোকসভায় সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে মনরেগা তহবিল প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকার কখনই কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করেনি।
তামিলনাড়ু হোক বা পশ্চিমবঙ্গ, মোদী সরকার কখনও কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে বৈষম্য করেনি। শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, বস্তুগত খরচ-সহ এমজিএনআরইজিএ-র বকেয়া বকেয়া শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর মতে, ২০০৬-০৭ থেকে ২০১৩-১৪ পর্যন্ত পূর্বতন ইউপিএ সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে শ্রম দিবসের জন্য মাত্র ১১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এনডিএ-র আওতায় এই অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৫৪,৫১৫ কোটি টাকা।