আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রসঙ্গ সংসদে তুললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজিকর কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই কাজের কাজ কিছু করতে পারেনি বলেও সমালোচনায় মুখর হন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।সেই সঙ্গেই রাজ্য পুলিশের তদন্তে ২ মাসের মধ্য়ে দুটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাজার প্রসঙ্গও তোলেন কল্যাণ। অর্থাৎ একদিকে রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে একেবারে সাজা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আর অন্যদিকে সিবিআই চার্জশিটই দিতে পারছে না সময়ের মধ্যে। যার জেরে জামিন পেয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত। এই বৈপরীত্যকে তুলে ধরেন তিনি।
পাশাপাশি দুটি প্রসঙ্গ। একদিকে আরজিকর কাণ্ড। জামিন পেয়ে গেলেন সন্দীপ ঘোষ। অভিজিৎ মণ্ডল। ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে পারল না সিবিআই। আর অন্যদিকে জয়নগর ও ফরাক্কার নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলা। সেখানে ২ মাসের মধ্যেই সাজা। তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ।
কল্যাণ বলেন, আরজিকরের ঘটনার কথা আপনারা সবাই জানেন। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।তারা এখনও কিছু করতে পারেনি। আর তার পরের দুটি ঘটনায় ২ মাসের মধ্যে সাজা ঘোষণা হয়েছে। বললেন কল্যাণ। একদিকে রাজ্য পুলিশ। আর অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দুয়ের তদন্তের মধ্যে ফারাকটাও কি এবার চিহ্নিত করলেন তৃণমূল এমপি?
আরজি কর কাণ্ডে কারা জামিন পেলেন?
গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। তার জেরে এবার ধর্ষণ-খুনের মামলায় জামিন পেলেন সন্দীপ-অভিজিৎ। সূত্রের খবর।
সিবিআইের তরফে বলা হয়েছিল সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট তারা আজই জমা দিতে পারছেন না। এরপরই তাঁদের জামিন মেলে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ২০০০ টাকা বন্ডের বিনিময়ে জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল। তবে জামিন পেলেও এখনই জেল থেকে বের হতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ। কারণ আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেও তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় তিনি জামিন পাননি। সেক্ষেত্রে একটা মামলাতে জামিন পেলেও অপর মামলায় তিনি জামিন না পাওয়ায় তাঁকে জেলেই থাকতে হবে।
তবে অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা নেই। সেক্ষেত্রে তিনি এবার জেল থেকে বের হতে পারবেন। তবে তাঁকে যখন থানা থেকে ডাকা হবে তখনই তাঁকে যেতে হবে। সন্দীপ ও অভিজিৎ দুজনের বিরুদ্ধে আরজি করের ওই নারকীয় ঘটনার প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ ছিল।