ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশানাল কনভেনশন। তারই চতুর্থ দিনে বক্তব্য রাখছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। আর সেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একদিকে যেমন আমেরিকার কথা উল্লেখ করেন। তেমনি তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় থাকা তাঁর শেকড়ের কথাও উল্লেখ করেন। মা শ্যামলা গোপালনের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি কিছুটা আবেগ বিহ্বল হয়ে যান।
এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে নেমে যেতে চাইছেন। এরপর তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে তাঁর পদে দলের তরফে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
এই জার্নিটা কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু আমি অজ্ঞাত পরিচয় কেউ ছিলাম না। এই জার্নিটাও আমার কাছে নতুন কিছু নয়। তিনি মঞ্চে উঠতেই তুমুল হাততালি।
কমলা হ্যারিসের মা শ্যামলা গোপালন। তিনি ২০০৯ সালে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি কমলার ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। কমলা সেই মায়ের কথা তুলে ধরেন। সেই সময় কী সাহসিকতা আর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে ১৯ বছর বয়সে শ্যামলা ভারত ছেড়ে এসেছিলেন সেকথা তুলে ধরেন তিনি। কমলা বলেন,আমার মার বয়স ছিল ১৯ বছর। একাই তিনি এসেছিলেন। ভারত থেকে ক্যালিফোর্নিয়া। বৈজ্ঞানিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য। তিনি সেই বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলেন যিনি ব্রেস্ট ক্যানসার সারাবেন।
তবে তিনি হয়তো চেয়েছিলেন দেশে ফিরে যাবেন পড়াশোনা শেষ করে। কিন্তু সেটা হল না। ভাগ্য তাঁর জন্য অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছিল। আমেরিকাতেই ডোনাল্ড হ্যারিসের সঙ্গে তাঁর দেখা হল। তিনি জামাইকার ছাত্র। এরপর প্রেম, বিয়ে এরপর বোন মায়া আর আমার জন্ম।
ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সেই সময় একটা বড় ট্রাকে করে এদিক ওদিক যেতে হত আমাদের। আমার বাবা মা যেখানে পোস্টিং হতেন সেখানে যেতাম আমরা। কী হাসি খুশির ছোটবেলা ছিল আমাদের। বাবা বলতেন, ভয় পাবে না। ছোটো কমলা ছোটো। ভয় পেও না। কেউ যেন তোমাকে থামাতে না পারে।