ত্রিপুরা থেকে ছেড়ে আসা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এনজেপি স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কিছু পরেই। এই আবহে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এরপরই এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। এদিকে সকল আহত যাত্রীদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ ত্রিপুরা সরকার বহন করবে বলে ঘোষণা করেন মানিক সাহা। এদিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেও যাচ্ছেন দুর্ঘটনাস্থলে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। (আরও পড়ুন: নিট প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে উদ্ধার ৬টি চেক, পরীক্ষার্থী পিছু কত করে 'চার্জ' করা হয়?)
আরও পড়ুন: শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্মলা, কবে পেশ হতে পারে ‘ঐতিহাসিক’ পূর্ণাঙ্গ বাজেট?
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের মাথায় হাত মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণায়, এবার পকেট থেকে খসবে টাকা
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মানিক সাহা লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়িতে মালবাহী ট্রেনের সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষের বিষয়ে মাননীয় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজির সাথে কথা বলেছি। মাননীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন যে উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চলছে এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা দেওয়া হবে।' তিনি আরও জানান, সকাল থেকেই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজ্য সরকার। ত্রিপুরা ভবনের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারকাজের দিকে নজর রেখেছেন। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা ভবনের কর্মীদের। (আরও পড়ুন: ৯% ডিএ বাড়িয়ে করা হল ২৩৯ শতাংশ, রাজ্য সরকারি কর্মীদের দেওয়া হবে বকেয়াও)
আরও পড়ুন: খলিস্তানি নেতা পান্নুন খুনের ছক কষার ঘটনায় ভারতীয় নাগরিকের প্রত্যর্পণ আমেরিকায়
শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ যাত্রীর। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে সংবাদসংস্থা পিটিআই দাবি করে, ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বহু রেলকর্মী আছেন। মালগাড়ির চালকের প্রাণ চলে গিয়েছে। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডও মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময় মেনেই আজ সকালে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি চলে আসে। আর সেটি ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সজোরে ধাক্কা মারে। তার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এদিকে ধাক্কার জেরে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে একটি বগির অর্ধেক অংশ উঠে যায়। একটি বগি পুরো রেললাইনের পাশে উলটে পড়ে যায়। সেইসবের মধ্যেই ওই ঘটনায় রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। (আরও পড়ুন: কমবে গরম, কলকাতায় অবশেষে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে কবে আসছে বর্ষা?)
আরও পড়ুন: মুরলীধর সেন লেনে BJP অফিসের কাছেই মিলল সুতলি বোমার মতো বস্তু, কী বলল পুলিশ?
এই আবহে রেলের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, সিগনাল ফেল করার জেরেই মালগাড়িটি গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে। জানা গিয়েছে, মালগাড়িটি ওভারলোডেড ছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গতি ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার ছিল। মালগাড়িটিও যথেষ্ট গতি ছিল। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতাগামী যে ট্রেনগুলি থাকে, সেগুলিকেই মূলত গুরুত্ব দিয়ে প্রথমে লাইন দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সেই লাইনে দেওয়া হয় অন্যান্য ট্রেন। তবে আজ ওই ক্রসিং পয়েন্টে এসে মালগাড়ি ধাক্কা মারল কাঞ্চনজঙ্ঘা এসপ্রেসে।