ক্যাঙারুকে খুব নিরীহ ভাবলে ভুল করবেন! অন্তত অস্ট্রেলিয়ায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর তো আরোই সমঝে চলা উচিত ক্যাঙারুদের সামনে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বলছে, ১৯৩৬ সালের পর এই প্রথমবার ক্যাঙারুর দ্বারা কোনও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে এলো অস্ট্রেলিয়ায়। যে ব্যক্তি খুন হয়েছেন, তিনি বুনো ক্যাঙারুটিকে সম্ভবত পুষতেন। আর সেই থেকেই ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর ঘটনা।
পোষ্য ক্যাঙারুটি এতটাই হিংস্র হয়ে যায় যে, সে ওই ৭৭ বছরের মৃত ব্যক্তির দেহের কাছে পুলিশ বা প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের ঘেঁষতেই দিচ্ছিল না। এর আগে, ওই ব্যক্তির আত্মীয়রা বাড়ি খুলে দেখে ব্যক্তি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তারপর পুলিশকে খবর দিতেই, তারা তদন্তে নামে। শেষে ক্যাঙারু যেভাবে পুলিশ কর্মীদের ওপরেও চড়াও হতে শুরু করে তারপর সেই ক্যাঙারুকে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়। মনে করা হচ্ছে, এর আগে ওই ক্যাঙারু ওই ব্যক্তিকে আক্রমণ করেছে। প্রসঙ্গত, এই কেসের প্রথমেই উঠে আসে ক্যাঙারুকে পোষ্য হিসাবে গ্রহণ করা সংক্রান্ত বিধি। অস্ট্রেলিয়ার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সেদেশের কোনও নাগরিক দেশে ক্যাঙারু পোষা নিয়ে কিছু বিধি রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো ঝগড়া কি দাম্পত্যে বড় চিড় ধরাচ্ছে? বাস্তু, ফেংশুই টিপস
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন গ্রে ক্যাঙারুগুলি অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তের বাসিন্দা। আর তাদের ওজন ৫৪ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। উচ্চতা চার ফুট। এদের মধ্যে যারা পুরুষ তারা নিজেদের মধ্যে যেমন মারপিট করে, তেমনই মানুষের সঙ্গেও মারপিট করার ক্ষমতা রাখে। ১৯৩৬ সালে উইলিয়াম কুইকশ্যাঙ্ক নামে এক ব্যক্তি ক্যাঙারুর হানার আঘাতে মারা যান। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি থাকার পর হয় মৃত্যু।