কেন সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরলেন কানহাইয়া কুমার, গোটা দেশবাসীই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। তাঁর মতো এমন লড়াকু বামপন্থী নেতা কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন সেটা নিয়ে কৌতহল অনেকের। তবে কানহাইয়া নিজেই সেই কৌতহলের নিরসন করলেন অনেকটাই । কংগ্রেসে যোগদান করেই কানহাইয়া কুুমার একেবারে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জানিয়ে দিলেন, দেশ চাইছে ভগৎ সিংয়ের সাহস, গান্ধীজির একতাবোধ ও বিআর আম্বেদকরের সমতা।
বিগত দিনে জেএনইউএর ক্যাম্পাসে, একাধিক মিটিংয়ে কানহাইয়া কুমারের জ্বালাময়ী ভাষণ শুনে রক্ত গরম হয়েছে অনেকেরই। আর কংগ্রেসের যোগ দিয়ে প্রথম বক্তব্যেই তিনি জানালেন, এটা জরুরী সময়। দেশকে বাঁচাতে আদর্শের লড়াইতে কংগ্রেসই একমাত্র শক্তি। আমি একলা কিছু করতে পারব না। ৫৪৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২০০টি আসনে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই হয়েছে। এদিকে গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জীগনেশ মেভানি বসেছিলেন তাঁর পাশেই। তিনি অবশ্য কংগ্রেসে সরাসরি যোগ দেননি। তবে কংগ্রেসের আদর্শের পাশে রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। কানহাইয়া কুমার বলেন, যখন শপিং মলে আগুন লাগে তখন আপনি দোকান বাঁচাতে পারবেন না। সঙ্ঘ পরিবারকেও একহাত নেন তিনি। তিনি বলেন, অনেকেই বলেন, কংগ্রেস না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না।
কানহাইয়া জানিয়েছেন, আমি সিপিআইতে জন্মেছি। কিন্তু লড়াইটা আরও জোরদার করার জন্য কংগ্রেস এসেছি। এদিন মেভানী রাহুল গান্ধীর হাতে ভারতের সংবিধান তুলে দেন। কানহাইয়া কুমার মহাত্মা গান্ধী, আম্বেদকর ও ভগৎ সিংয়ের ছবি তুলে দেন। এদিকে সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, তিনি নিজেই নিজেকে বহিষ্কার করেছেন। তাঁর মনে হয় কোনও ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খা রয়েছে। তিনি কমিউনিস্ট আদর্শে ও শ্রমিক শ্রেণিতে বিশ্বাস করেন না। তবে তিনি আসার আগেও পার্টি ছিল, চলে যাওয়ার পরেও থাকবে।