উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের পর এবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল কানপুরে। ভয়াবহ বিস্ফোরণটি গতকাল রাতে ঘটেছে একটি মসজিদের পাশে। জানা গিয়েছে, মসজিদের পাশে পার্ক করে রাখা দুটি স্কুটারে বিস্ফোরণটি হয়। এই বিস্ফোরণে বহু লোক জখম হয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিস্ফোরণের পর আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে একজন নারী আছেন। জখমদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের লখনউতে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর রাতেই বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে পৌঁছায় ফরেনসিক টিম, বোম্ব স্কোয়াড এবং এটিএস টিম। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে দুটি স্কুটিই বিস্ফোরক বহন করছিল। ঘটনাটি ঘটেছে মেস্টন রোডের মুলগঞ্জে। পুরো এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয় বিস্ফোরণের পর। কর্তৃপক্ষ রাত থেকেই এই বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করেছে। বিস্ফোরণটি এতটাই তীব্র ছিল যে শব্দটি অনেক দূর থেকেও শোনা যায় বলে দাবি স্থানীয়দের। এই বিস্ফোরণের জেরে পাশের একটি মসজিদের দেয়ালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশেপাশের অনেক দোকানের ফলস সিলিংও ধসে পড়েছে। পুলিশ স্কুটির মালিকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
এদিকে গতকাল এই বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই গোটা এলাকায় বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কানপুরের পুলিশ কমিশনার রঘুবীর লাল এবং অন্যান্য আধিকারিকদের কাছ থেকে বিস্ফোরণের বিষয়ে পুরো তথ্য নেন ডিজিপি রাজীব কৃষ্ণ। তিনি অনেক নির্দেশনাও দিয়েছেন তদন্তের ক্ষেত্রে। ফরেনসিক টিমকে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া নমুনার বিষয়ে শীঘ্রই একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন ডিজিপি। একই সময়ে, এটিএসের দুটি দল লখনউ থেকে কানপুরে পৌঁছে যায় এই বিস্ফোরণের তদন্ত করতে। এই দলগুলি স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় প্রমাণ সংগ্রহ শুরু করে। এছাড়া এডিজি আইনশৃঙ্খলাও এসটিএফকে সতর্ক করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া বিস্ফোরক পদার্থের পরীক্ষা করে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে এই বিস্ফোরণটি কোনও বড় ষড়যন্ত্র ছিল নাকি দীপাবলিতে আতশবাজি তৈরির জন্য স্কুটির ভিতরে বিস্ফোরক পদার্থ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।