উত্তরপ্রদেশের কানপুরের শ্যামনগরের ডি ১২ এলাকায় হরিওম অবস্থির একটি বড়সড় বাড়ি রয়েছে। কয়েক বছর আগে তাঁর প্রয়াণ হয়। দুই ছেলে আশুতোষ বিজয় অবস্থি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। আর তাঁরা দুজনেই বিদেশে থাকেন। কানপুরে গৃহস্বামীহীন বাড়ির ভিতর কী হচ্ছে, তা জানতে এই দুই ভাই বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। যা তাঁরা আমেরিকায় বসে নজরে রাখতেন। একদিন আমেরিকার নিউজার্সিতে বসে এই সিসিটিভিতেই তাঁরা দেখতে পান তাঁদের পৈতৃক বাড়িকে ডাকাত ঢুকেছে। এরপরই তাঁরা খবর দেন বাড়ির প্রতিবেশীদের। কাল বিলম্ব না করেই প্রতিবেশীরা ফোন করেন পুলিশে। এরপর ঘটে রুদ্ধশ্বাস কাণ্ড।
পুলিশে খবর দিতেই মুহূর্তে তারা বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে। এরপর পুলিশ এসে গিয়েছে বুঝতে পেরেই ডাকাতরা গুলি চালায়। পাল্টা পুলিশও গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এই সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয় এক ডাকাত। তারপর ডাকাতদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের শ্যামনগরের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছেস ডাকাতির খবর পেতেই চকোরির পুলিশ ইনসপক্টর মধুকর মিশ্র গোটা ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন। এদিকে, পাঁচ জনের ডাকাতদলে প্রথমে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হতেই বাকি চারজনের খোঁজে পুলিশ তৎপরতা নেয়।
ডিসিপি প্রমোদ কুমার ও এসিপি মৃগাঙ্গ শেখেরর তৎপরতায় বাকিদের খোঁজ করেন। উল্লেখ্য, শীতের দাপটে এই মুহূর্চে কাঁপছে উত্তরপ্রদেশে। সেই শীতের রাতেই ১২ টা নাগাদ এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতি ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।