হিংসা ঘিরে তপ্ত উত্তরপ্রদেশের কানপুর। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত এলাকায় যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দরা সভা মঞ্চে বিভিন্ন কর্মসূচিতে রয়েছেন, তখনই খবর উঠে আসতে থাকে, কানপুর সিটির হিংসা ঘিরে। জানা গিয়েছে শুক্রবারের নমাজের পরই কানপুরে উত্তেজনার পরিস্থিতি দেখা যায়।
সূত্রের দাবি, কানপুরের বেকনগঞ্জ এলাকায় পুলিশের লাঠিচার্জ ঘিরে যাবতীয় সংঘাতের সূত্রপাত। তারপরই রাস্তায় প্রতিবাদে ফেটে পড়েন প্রায় শতাধিক মানুষ। জানা গিয়েছে বেকনগঞ্জে শুক্রবারের নমাজের পর এই হিংসার বাতাবরণ শুরু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে অনেকেই স্থানীয় দোকানপাঠ বন্ধ রাখেন। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হন। প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও, খানিক বাদ থেকেই হিংসা বাড়তে থাকে। শোনা যায় গুলির শব্দও। পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন। জানা গিয়েছে কানপুরের বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে একটি বিতর্কিত মন্তব্য কিছুদিন আগে করেন, তার প্রতিবাদেই এদিন বাজার বন্ধ রাখার পদক্ষেপ করেন মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা। এই বাজার বন্ধ করা ঘিরেই মূল বচসার সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। অল্পেই গুগলে রোগ সার্চ করে তারপরে ডাক্তারের কাছে যান কি? দেখুন এই পোস্টটি
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় নামে পুলিশ। পুলিশের তরফে ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলিও চালানো হয় বলে খবর। তখনই এলাকার ভিতরের বিভিন্ন বাড়ি থেকে পাথর বর্ষণ শুরু হয় বলে জানা যাচ্ছে। ইট, পাথর বর্ষণ করা হয় পুলিসকে লক্ষ্য করে। কানপুরের মেস্টন রোড, হীরামন পূর্বা, রাওয়াতপুর,জাজমৌয়ের বহু এলাকা রুদ্ধ রয়েছে। পথচলতি মানুষ এই আচমকা হিংসার জেরে পড়েছেন বিপাকে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় প্রশাসন।