প্রতি বছরের মতো এবারও শ্রাবণে কাঁওয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এই যাত্রা শুরু হতেই বেশ কিছু বিতর্ক সামনে এসেছে। এর আগে হরিদ্বারে কাঁওয়ার যাত্রার রুটে সমস্ত মসজিদ ও মাজারকে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে নানা মহল থেকে আপত্তি উঠতেই পরে তা সরিয়ে দেওয়া হয়। আর এবার গঙ্গা জল নিয়ে সোজা তাজমহলে গিয়ে হাজির হলেন এই যাত্রায় অংশগ্রহণকারী এক মহিলা। ওই পুণ্যার্থী দাবি করেছেন, ভগবান শিবের কাছ থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়েই তিনি তাজমহলে গঙ্গা জল ছিটাতে চেয়েছিলেন। যদিও শেষমেষ পুলিশ ওই মহিলাকে আটকে দেয়। তবে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঁওয়ার যাত্রা বিতর্ক নিয়ে US আধিকারিককে প্রশ্ন পাক সাংবাদিকের, মিলল মোক্ষম জবাব
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার।উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত তাজমহলে গঙ্গার জল দিতে যান তিনি। মহিলার নাম মীনা রাঠোর। তিনি একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্য। তিনি দাবি করেন, তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া। তিনি বলেন, ‘আমি তেজো মহালয়ায় গঙ্গাজল নিবেদন করতে এসেছিলাম। ভগবান শিব আমাকে স্বপ্নে এটি করতে বলেছিলেন। এরপর আমি কাঁওয়ার যাত্রায় বের হয়েছিলাম। গেটে পুলিশ আমাকে বাধা দেয়। ভিতরে যেতে অনুমতি দেয়নি।’
সহকারী পুলিশ কমিশনার (তাজ নিরাপত্তা) সৈয়দ আরিব আহমেদ বলেন, ওই মহিলাকে পশ্চিম গেটে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তাকে তাজমহলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিছুক্ষণ পর তিনি নিজেই রাজেশ্বর মন্দিরে গঙ্গাজল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তাজমহল নিয়ে অনেক আগে থেকেই বিতর্ক রয়েছে। সংঘ পরিবারের দাবি, তাজমহল আসলে একটি পুরনো মন্দির। তার নাম ছিল তেজো মহালয়া। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র সঞ্জয় জাট মহিলাকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাজমহল আসলে ভগবান শিবের মন্দির। এখানে গঙ্গার জল দেওয়া তাদের অধিকার।’ উল্লেখ্য, কাসগঞ্জের সোরন থেকে কাঁওয়ার যাত্রায় এসেছিলেন ওই মহিলা। তিনি দু দিন পর আগ্রা পৌঁছন।
উল্লেখ্য, তাজমহল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। এনিয়ে আদালত পর্যন্ত জল গড়িয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি এটিকে শিব মন্দির বলে দাবি করে আসছে। তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে, এএসআই ২০১৭ সালে আদালতকে জানায় এটি একটি সমাধি, মন্দির নয়। এদিনের ঘটনায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল পুরনো সেই বিতর্ক।