কপিল সিব্বল গতকালই দাবি করেন তিনি গত ১৬ মে কংগ্রেস ছেড়ে দেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন দলের সঙ্গে ‘সমর্থন’ চেয়ে দর কষাকষি চালান প্রবীণ সাংসদ কপিল সিব্বল। জানা গিয়েছে, অখিলেশ যাদবের সমর্থন চাওয়ার আগে কপিল সিব্বল কালীঘাটে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই সমর্থন চেয়েছিলেন। তবে ঘাসফুল শিবিরের তরফে সাফ জানানো হয়, সমর্থন পেতে হলে দলে যোগ দিতে হবে কপিলকে। তবে তৃণমূলে নাম লেখানোর কোনও ইচ্ছাই ছিল না কপিলের। এই আবহে মমতা এবং পরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেও কথা আর এগোয়নি।
তৃণমূলের সমর্থন না পেয়ে লখনউয়ের টিকিট কেটে অখিলেশ যাদবের দরবারে হাজির হন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। অখিলেশ সিব্বলকে সমর্থন দেবেন বলে জানিয়ে দেন। তবে কপিলকে তার জন্য সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে হবে না বলেও জানান অখিলেশ। এই আবহে গতকাল অখইলেশকে পাশে নিয়েই রাজ্যসভার মনোনয়ন পেশ করেন কপিল সিব্বল।
সূত্রের খবর, কপিল সিব্বলের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আলোচনা শুরু কয়েক মাস আগে থেকেই চলছিল। তিনি নাকি তৃণমূলেরই এক রাজ্যসভা সাংসদকে জানিয়েছিলেন যে তিনি আর কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভার সদস্য হতে চান না। তিনি প্রশ্ন করেন, তৃণমূল তাঁকে সমর্থন করবে কি না। তবে সেই সময় নাকি সিব্বল এটা স্পষ্ট করে জানাননি যে তিনি দলে যোগ না দিয়েই সমর্থন চাইছেন। তবে সিব্বল নির্দল হিসেবে মনোয়ন জমা দিতে চাইলে মমতা-অভিষেক জানিয়ে দেন যে ঘাসফুল শিবিরে সরাসরি যোগ না দিলে তৃণমূল সমর্থন জানাবে না কপিলকে। এদিকে কপিলের বক্তব্য, ‘আমি স্বাধীন কণ্ঠ হিসেবে সংসদে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে চাই।’
উল্লেখ্য, আইনজীবী হিসেবে কপিলের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক বহুদিনর। রাজ্য সরকার তো বটেই, তৃণমূলের হয়েও বহু মামলা লড়েছেন কপিল সিব্বল। এহেন সিব্বলকে দলে নিয়ে কংগ্রেসকে ধাক্কা দিতে চেয়েছিলেন মমতা। জানা গিয়েছে, মমতা শেষবার যেবার দিল্লি গেলেন তখনও কপিল সিব্বলের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তবে দুই তরফই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় কতা আর এগোয়নি।