প্রায় ৩.২ কোটি টাকার মেথ(ড্রাগ) নিয়ে এক যাত্রীকে ধরা হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছিল রেলের সম্পূর্ণ মহিলাচালিত পুলিশ টিম। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রেফতার করা ব্যক্তির সঙ্গে ছবিও পোস্ট করা হয়েছিল। তারপর কর্নাটকের ওই যাত্রীর 'ড্রাগ'-এর নমুনা পাঠানো হয় ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। আর তা ফেরত আসতেই বেজায় চাপে মহিলা পুলিশ টিম।
কর্নাটকে গত ২ অক্টোবর প্রশান্তি এক্সপ্রেসে করে যাচ্ছিলেন মাদিওয়ালা বেহরা নামের ওই ব্যক্তি। সেই সময়েই হিন্দুপুর স্টেশনে হঠাত্ তাঁর লাগেজ যাচাই করতে চাওয়া হয়। ব্যাগের মধ্যে থেকেই মেলে ৬৪০ গ্রামের মেন্থলের প্যাকেট। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করে মহিলা পুলিশের টিম।
ফরেন্সিক ল্যাবের রিপোর্ট বলছে, প্যাকেটের গুঁড়ো পদার্থটি কোনও ড্রাগ নয়। বরং সেটি মেন্থল। কর্পূর জাতীয় জিনিস। তবে সরাসরি কর্পূর ঠিক বলা যায় না। বিভিন্ন সাবান, ক্রিম, ফেস প্যাক-এ এটি ব্যবহার করা হয়। এর হালকা সুগন্ধ আছে এবং ত্বকে দেওয়া হলে ঠান্ডা ভাব লাগে।
তবে পুলিশকর্মীদের ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। মেন্থলের ছোট ছোট স্ফটিক হুবহু মেটামফেটামিন বা ক্রিস্টাল মেথ-এর মতো দেখতে। ক্রিস্টাল মেথ বিশ্বজুড়ে বহু দেশেরই অন্যতম মাথা ব্যাথা।
স্পেশাল মহিলা টিম অবশ্য এর দায় চাপাচ্ছে আরপিএফ-এর উপর। আবার আরপিএফ বলছে নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো এবং গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরই দোষে এমনটা হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই ছাড়া পেয়েছেন নির্দোষ ওই ব্যক্তি।