বেসরকারি সংস্থার গ্রুপ 'সি' এবং গ্রুপ 'ডি' পদে কন্নড় ভাষীদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তা নিয়ে যে বিল পেশ করা হবে, তাতে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দিয়েছে কর্ণাটকের মন্ত্রিসভা। যে বিল আগামী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পেশ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, ওই বিলে বলা হয়েছে, যে কোনও সংস্থাকে ম্যানেজমেন্ট ক্যাটেগরিতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ 'স্থানীয় প্রার্থী' নিয়োগ করতে হবে। আর নন-ম্যানেজমেন্ট ক্যাটেগরিতে 'স্থানীয় প্রার্থী'-দের জন্য কমপক্ষে ৭০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। যদি কারও দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ভাষা হিসেবে কন্নড় না থাকে, তাহলে তাঁদের আবশ্যিকভাবে পরীক্ষা দিতে হবে। যে ভাষা-পরীক্ষা নেবে সরকার। আর তার জেরে বাঙালিদের মাথায় হাত পড়তে পারে। বর্তমানে প্রচুর বাঙালি বেঙ্গালুরু-সহ কর্ণাটকে কাজ করেন।
নয়া বিল আনছে কর্ণাটক সরকার
কর্ণাটকের আইন দফতর সূত্রের খবর, যে 'কর্ণাটক স্টেট এমপ্লয়মেন্ট অফ লোকাল ক্যান্ডিডেটস ইন দ্য ইন্ডাস্ট্রি, ফ্যাক্টরি অর আদার এসটাবলিশমেন্টস বিল' আনা হচ্ছে, তাতে কন্নড়ভাষীদের অধিকার নিশ্চিত করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার দাবি, তাঁর সরকার হল কন্নড়ভাষী-পন্থীদের সরকার।
দশম শ্রেণিতে কন্নড় ভাষা না থাকলে পরীক্ষা দিতে হবে
বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, কন্নড়ভাষী স্থানীয় প্রার্থীদের জন্য বেসরকারি সংস্থায় সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হবে। শুধু তাই নয়, প্রার্থীকে কমপক্ষে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কন্নড় ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। দশম শ্রেণিতে ভাষা হিসেবে কোনও প্রার্থীর যদি কন্নড় না থাকে, তাহলে তাঁকে ভাষা-পরীক্ষা দিতে হবে। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন ভাষার দক্ষতার পরীক্ষায় বসতে হয়, কর্ণাটকেও সেরকম ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব আছে সেই বিলে।
যোগ্য প্রার্থী না পেলে সংরক্ষণের সীমা কমানো হবে
ওই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক যোগ্য স্থানীয় প্রার্থী না পাওয়া যায়, তাহলে সংরক্ষণের নিয়ম শিথিল করার জন্য আগে সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। তারপর রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
তবে সেক্ষেত্রেও সংরক্ষণের একটা সীমা বেঁধে দেওয়া থাকবে। অর্থাৎ সংরক্ষণের নিয়ম শিথিল করা হবে মানেই যে যতগুলি কন্নড় বলতে না পারা 'বহিরাগত প্রার্থী'-দের নিয়োগ করা যাবে, সেরকম নয়। ওরকম পরিস্থিতিতেও কন্নড় জানা স্থানীয় প্রার্থীদের ন্যূনতম সংরক্ষণের একটি সীমা থাকবে বলে ওই বিলে বলা হয়েছে।
নিয়ম না মানলে জরিমানা
বিলে আরও বলা হয়েছে যে যদি কেউ সেই প্রস্তাবিত আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলে ১০,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। যদি জরিমানা চাপানোর পরও নিয়ম লঙ্ঘন করে যেতে থাকে, তাহলে আরও বাড়বে ফাইনের অঙ্কটা।