কর্নাটকের টুমকুল জেলায় বাস দশমের ছাত্রী গ্রিশমার। চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া কর্নাটক বোর্ড পরীক্ষায় গ্রিশমা প্রথম স্থান লাভ করেছে। তবে এর কয়েকমাস আগেই দারিদ্রের তারণায় সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। কোভিড আবহে স্কুলের ফি জমা না দিতে পারায় গ্রিশমাকে পরীক্ষায় বসার অ্যাডমিট কার্ড দেয়নি তার স্কুল। সেই শোকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল গ্রিশমা। আর সেই ছাত্রী পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেয় গতমাসে। সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল যে সে বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এই বছর।
কর্নাটকের 'সেকেন্ডরি স্কুল লিভিং সার্টিফিকেটে'র পরীক্ষায় এবছর ৫৩ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী বসে। সেই পরীক্ষায় ৬২৫-এ ৫৯৯ পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে মুদিবিদারের আলভাস স্কুলের ছাত্র গ্রিশমা। তবে এই ছাত্রীকেই হল টিকিট দিতে অস্বীকার করেছিল আলভাস স্কুল। গ্রিশমা জানান যে সে যেই স্কুলে পড়ত, তার ফি ১ লক্ষ টাকা। পরীক্ষার জন্য এনরোল করার সময় সেই কথা জানতে পারে গ্রিশমার অভিভাবকরা। এরপর আবেদন করা হয় ডেপুটি ডিরেক্টর ফর পাবলিক ইনস্ট্রাকশন এবং কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। তবে তাতে ফল হয়নি।
আশাহত হয়ে গ্রিশমা গত ১৭ জুলাই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এর আগে নবম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ পেয়েছিল। সেই ছাত্রী দশমের বোর্ডের পরীক্ষায় না বসতে পেরে ভেঙে পড়েছিল পুরোপুরি। তবে চিকিত্সকরা গ্রিশমাকে ফের বাঁচিয়ে তোলেন। কোভিড আবহে কর্নাটকের বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার পাশাপাশি গ্রিশমার এই খবরও শিরোনাম হয়।
খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী সুরেশ কুমার গ্রিশমার বাড়ি গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। গ্রিশমাকে সাহস রাখতে বলে তিনি আশ্বাস দেন যে গ্রিশমা বোর্ড পরীক্ষায় বসতে পারবে। পরবর্তীতে সাপলিমেন্টারি পরীক্ষায় বসে বাজিমাত করল গ্রিশমা।