কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর রেখা কাদিরেশকে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই মামলায় ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বয়ান বদলেছিলেন ৪৮ জন সাক্ষ্য। শুধুমাত্র একজনের মোবাইলে তোলা ভিডিয়ো ফুটেজকে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করে এই সাত জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। উল্লেখ্য, বিজেপি নেত্রীকে খুনের ঘটনা ঘটেছিল ২০২১ সালে।
আরও পড়ুন: ‘মহিলার সঙ্গে…’ উস্তির পার্টি অফিসে বিজেপি নেতার দেহ, তদন্তের আগেই খুনের কারণ জানালেন কুণাল
আদালত সূত্রের খবর, পারিবারিক বিবাদ ও রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে রেখাকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বিজেপির প্রাক্তন কাউন্সিলর রেখাকে তাঁর বাড়ির বাইরে নির্মমভাবে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল। জানা যায়, রেখাকে খুনের মূল ষড়যন্ত্রের মূল অভিযুক্ত ছিলেন তাঁর ননদ মালা আর। তিনি রেখার প্রতি এতটাই ঈর্ষান্বিত ছিলেন যে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। এরপর ২০২১ সালে রেখার কটনপেট এলাকার বাড়ির বাইরে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। তার তিন বছর আগে খুন করা হয়েছিল রেখার স্বামীকে। সেক্ষেত্রেও মালা সন্দেহ ছিল তার ভাইকে হত্যার পিছনে রেখার হাত ছিল। এই সব শত্রুতার জেরেই তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের মামলা শুরু হয় নিম্ন আদালতে। সেই সময় মাল অসুস্থ হয়ে মারা যান। বাকি যে ৭ জনকে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, মালার ছেলে আর অরুণ কুমার। এছাড়া রয়েছেন, পিটার অ্যান্থনি, ভি সুরেশ ওরফে সূর্য, জে স্টিফেন, এস পুরুষোত্তম, অজয় কে এবং ভি সেলভারাজ ওরফে বুদান ওরফে ক্যাপ্টেন। এই মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে ৪৮ জন বয়ান বদল করেন। আদালতে হাজিরাও এড়িয়ে যান। কিন্তু, একটি মেয়ের মোবাইলে রেকর্ড ভিডিয়ো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়ে ওঠে এই মামলায়। এই ভিডিয়োতে হামলার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে আদালতের কাছে।তার ভিত্তিতে বেঙ্গালুরুর দায়রা আদালত সাত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই খুনের অভিযোগে গ্রেফতারের পর থেকে সকল অভিযুক্ত জেলে রয়েছেন। তাদের বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় কারাগারে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়। তৎকালীন ডিসিপি সঞ্জীব পাতিলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে।