হিজাব বিতর্কের মাঝেই কর্নাটকের শিবমোগায় খুন বজরঙ দল নেতা। আর এই ঘটনা ঘিরে আরও উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণী এই রাজ্যে। এদিকে প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাটি হিজাব বিতর্কের সাথে জড়িত থাকতে পারে। এরপরই শিবমোগায় দাঙ্গা লাগার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই শহর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অরগা জ্ঞানেন্দ্র দাবি করেন যে এই খুনের ঘটনার সঙ্গে হিজাব বিতর্কের কোনও যোগ নেই। যদিও কর্নাটক সরকারের অপর এক মন্ত্রী ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে অভিযোগের আঙুল তোলেন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের দিকে।
জ্ঞানেন্দ্র বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে হিজাব ইস্যুটির কোনও সম্পর্ক নেই এবং এটি বিভিন্ন কারণে ঘটেছে। শিবমোগা একটি সংবেদনশীল শহর। ঘটনাটি বড় রাস্তায় ঘটেছে এবং পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে সতর্ক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়ণে রাখতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে ক্লু আছে, শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে। আমি জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে; মানুষ উস্কে দেওয়া উচিত নয়। সরকার বিচার করবে।’
এর আগে কর্নাটকের গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা দাবি করেন যে বজরঙ দলের কর্মীকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল মুসলিম গুন্ডা। যদিও পুলিশ এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। সাংবাদিকদের ঈশ্বরাপ্পা বলেন, ‘আমি একজন বজরং দলের কর্মী খুনের ঘটনায় খুবই বিরক্ত। তাকে 'মুসলমান গুন্ডা'রা হত্যা করেছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আমি এখন শিবমোগায় যাচ্ছি। আমরা 'গুন্ডাগিরি'র অনুমতি দেব না।’
এদিকে ঈশ্বরাপ্পার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার বলেন, ‘তাঁর (ঈশ্বরপ্পা) সাধারণ জ্ঞান নেই। তিনি ইতিমধ্যেই ভারতীয় পতাকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিধি ভঙ্গ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা উচিত এবং তাঁকে অবশ্যই বরখাস্ত করতে হবে। তিনি দেশ ও জাতীয় পতাকার জন্য লজ্জা বয়ে এনেছেন... এই ঘটনা দুই গ্রুপের ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশকে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে হবে।’