বিপাকে পড়তে চলেছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর এবং পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই মামলা পুনরায় শুরুর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্যপালকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর এবং পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এই মামলায় তদন্তের অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলটের কাছে একটি আবেদন জমা পড়েছিল। তবে তিনি তদন্তের অনুমতি দেননি। রাজ্যপালের সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানাবে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: নাবালিকার যৌন হেনস্থা মামলায় ৩ ঘণ্টা ধরে BJPর ইয়েদুরাপ্পাকে ম্যারাথন জেরা CIDর
কর্ণাটকের মন্ত্রী এইচ কে পাটিলের জারি করা মন্ত্রিসভার নোট অনুযায়ী, একটি হাউজিং কমপ্লেক্সের জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ইয়েদুরাপ্পা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই মামলাটি পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর জন্য রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ জানাবে মন্ত্রিসভা।
কী দুর্নীতির অভিযোগ?
জানা গিয়েছে, ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন আব্রাহাম নামে একজন।অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডিএ) হাউজিং প্রকল্পের জন্য একটি টেন্ডার জারি করেছিল। সেখানে অংশ নিয়েছিল নাগার্জুন কনস্ট্রাকশন এবং রামালিঙ্গম কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। তবে রামালিঙ্গম কনস্ট্রাকশন কোম্পানি প্রা. লিমিটেড ইয়েদুরপ্পা এবং অন্যান্যদের ১২ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিল। একজন সরকারি আধিকারিকের মাধ্যমে এই ঘুষের টাকা হস্তান্তর করা হয়েছিল।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ইয়েদুরাপ্পার ছেলে তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র ও তাঁর নাতি শশীধর মারাদি। সেই সময় রাজ্যপাল তদন্তের অনুমোদন না দিলেও কর্ণাটক হাইকোর্ট মামলার শুনানির নির্দেশ দেয়। এর পরে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে লোকায়ুক্ত তদন্ত শুরু করে।মন্ত্রিসভা মনে করে, এই মামলার অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত যেমন চলছে তেমনি ইয়েদুরপ্পার বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। মন্ত্রিসভা বলেছে, প্রধান অভিযুক্তকে তদন্তের বাইরে রাখলে তদন্তের কোনও উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।