গুজরাতকে পেরিয়ে দেশের করোনা প্রকোপ তালিকায় চতুর্থ স্থান দখল করল কর্নাটক। ‘এখন শুধু ঈশ্বরই আমাদের করোনা থেকে বাঁচাতে পারেন,’ পরিস্থিতি দেখে মন্তব্য করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বি শ্রীরামালু।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে শ্রীরামালু বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শাসক বা বিরোধী, ধনী বা দরিদ্র, ভাইরাস কাউকে ছাড়ে না। আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত যে, আগামী দুই মাসে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়বে। কেউ বলতেই পারেন সরকারি গাফিলতি বা মন্ত্রীদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা অথবা মন্ত্রীদের মধ্যে সংযোগের অভাবেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সমস্ত অভিযোগ সত্যির থেকে অনেক দূরে। একমাত্র ঈশ্বরই আমাদের করোনা থেকে রক্ষা করতে পারেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই উক্তির কড়া সমালোচনা করেন বিরোধীরা। করোনা সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত, বলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি বলেন, ‘সরকার কী কারণে ক্ষমতায় রয়েছে? আপনাদের কাছে ক্ষমতা ও অর্থ রয়েছে। রাজ্যবাসীর সেবা করাই আপনাদের প্রধান কাজ। ওঁকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে যেতে দিন। ঈশ্বর তাঁকেই সাহায্য করেন যিনি সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করেন।’
বিরোধী সমালোচনার মুখে পড়ে পরে টুইটারে নিজের মন্তব্য ব্যাখ্যা করেন শ্রীরামালু। তিনি লিখেছেন, ‘আমি ওই শব্দগুলি আতঙ্ক ছড়াতে নয়, মানুষকে সচেতন করতে ব্যবহার করেছি। এই নিয়ে অযথা ভীতি সৃষ্টি করার দরকার নেই। মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুইয়েরাপ্পার নেতৃত্বে আমাদের সরকার চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে। সারা বিশ্বের জন্যই এখন ঘোর দুঃসময়, এবং করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্যবাসীর জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
বুধবারই প্রথম কর্নাটকে একদিনে ৩,১৭৬ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৭,২৫৩। এঁদের মধ্যে ১৮,৪৬৬ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এবং ৯২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার বেঙ্গালুরুতে ১,৯৭৫ জন নতুন করোনা রোগীর খবর মিলেছে, যার জেরে মোট কোভিড পজিটিভ রোগী আপাতত ১৭,০৫১ জন। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের ঘেরাটোপে রয়েছে শহর। এ দিকে প্রত্যেক প্লাজমা দাতাকে ৫,০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন কর্নাটকের চিকিৎসা শিক্ষা মন্ত্রী কে সুধাকর।