বিচারপতির করা একটি বিশেষ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এবার এনিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি ভি শ্রীশনন্দ। ওপেন কোর্ট বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বেঙ্গালুরুর একটি এলাকা যেখানে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সংখ্যা বেশি সেই এলাকাটিকে পাকিস্তান বলে উল্লেখ করাকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল।
এনিয়ে ওই বিচারপতি জানিয়েছেন, বিচারবিভাগীয় শুনানির সময় কিছু পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয় কিন্তু সেগুলিই প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করা হয়। তবে এই পর্যবেক্ষণ একেবারেই ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, কোনও ব্যক্তিকে আঘাত দেওয়া বা সমাজের কোনও অংশকে আঘাত দেওয়ার জন্য় এটা করা হয়নি। তবে এই ধরনের পর্যবেক্ষণের জন্য় কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, সমাজের কোনও অংশ বা কোনও সম্প্রদায় যদি আঘাত পেয়ে থাকে তবে আমি এনিয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
সেই সঙ্গেই বিচারপতি জানিয়েছেন যে মন্তব্য করা হয়েছিল তা কোনও মহিলা আইনজীবীকে নিশানা করে নয়। এটা করা হয়েছিল তাঁর মক্কেলের জন্য। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ওই মহিল আইনজীবী যদি আদালতে উপস্থিত থাকতেন তবে তিনি তাঁকে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতেন।
সিনিয়র অ্য়াডভোকেট বিবেক সুব্বারেড্ডি , অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গালুরুর প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, বিচারপতি যে রায় দেন তা খুব সুন্দর। তবে এই ধরনের কথা, উপকথা শুনানির সময় বললে সেটা আইনজীবীদের উপরেও প্রতিক্রিয়া তৈরি করে কারণ এগুলির লাইভ স্ট্রিমিং হয়।
এদিকে অ্য়াডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গালুরু অফিস বিয়ারার্স উল্লেখ করেছে যে ইউটিউবার্সরা যে ধরনের পোস্ট করছেন তা বিভ্রান্তিমূলক। যে ধরনের ট্যাগ লাইন তাঁরা ব্যবহার করছেন তা আইনজীবীদের উপর প্রভাব ফেলছে। রেজিস্ট্রার জেনারেল ও রেজিস্ট্রার জুডিশিয়ালদের এই সব ইউটিউবার্সদের নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।