প্রায় দু’বছর ধরে অতিরিক্ত পেনশন দিয়ে আসছিল ব্যাঙ্ক। তবে পেনশনভোগীর মৃত্যুতে টনক নড়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। এই আবহে একলপ্তে অতিরিক্ত পেনশন ফিরিয়ে নেয় ব্যাঙ্ক। এই আবহে কর্ণাটক হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত পেনশন ফিরিয়ে নিতেই পারে। তবে এভাবে একলপ্তে সব টাকা ফেরানো যায় না। মাসে মাসে অল্প অল্প করে অতিরিক্ত টাকা ফেরাতে হবে।
উল্লেখ্য, এক পেনশনভোগীর অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে ৯৬ হাজার ৯৯৮ টাকা পেনশন জমা করছিল কানাড়া ব্যাঙ্ক। যদিও সেই পেনশনভোগীর প্রাপ্য পেনশন ৩৮ হাজার ৬০৪ টাকা। দুই বছর এভাবে অতিরিক্ত পেনশন দিয়ে আসে কানাড়া ব্যাঙ্ক। সব মিলিয়ে মোট ১৩ লাখ ৪০ হাজার ২৬১ টাকা অতিরিক্ত পেনশন দিয়ে বসেছিল ব্যাঙ্ক। এরপর পেনশনভোগীর মৃত্যু হলে ‘রিকভারি অর্ডার’ জারি করে ব্যাঙ্ক। এই আবহে পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে একলপ্তে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা তুলে নেয় কানাড়া ব্যাঙ্ক। এই পুরো ঘটনায় হয়রানির শিকার হন প্রয়াত পেনশনভোগীর স্ত্রী। তাঁর বয়স ৭৩ বছর।
এই গোটা ঘটনায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘ব্যাঙ্ক পেনশনভোগী স্বামীর মৃত্যুর পর ৭ মাস ধরে আবেদনকারীকে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য হয়রানি করেছে। এই বিষয়ে আবেদনকারী নিজে কিছুই জানতেন না... এই আবহে তিনি নিজের ভরণপোষণ করতে পারছেন না। তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছেন না, তাঁর চিকিৎসার বিল বকেয়া রয়েছে। এই সব কারণে তিনি করুণ অবস্থায় আছেন। তবে এই অবস্থাতেও ব্যাঙ্ক অননুমোদিত ডেবিট চালিয়ে যাচ্ছে।’
আদালত এরপর ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দেয়, দুই সপ্তাহের মধ্যে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা ফেরাতে হবে প্রয়াত পেনশনভোগী স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। বাকি পেনশনও সময় মতো দিতে থাকতে হবে ব্যাঙ্ককে। এদিকে অতিরিক্ত পেশনের টাকা ফেরাতে ব্যাঙ্ক মাসে মাসে আবেদনকারী মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ হাজার টাকা করে কাটতে পারবে।