অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনও ধর্ষিতার বয়স নিয়ে শেষ কথা বলবে স্কুল সার্টিফিকেটই। সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসক যদি ধর্ষিতার বয়স নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করে, তা গ্রাহ্য করা হবে না। গতকাল এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণটি করল কর্ণাটক হাই কোর্ট। আদালত বলে জুভেনাইল জাস্টিস (শিশু সুরক্ষা) বিধি ২০০৭-এর ১২(৩) নং ধারা অনুযায়ী, কোনও নির্যাতিতার স্কুল সার্টিফিকেট বা জন্ম শংসাপত্র না থাকলে তবেই নির্যাতিতার বয়স নিয়ে চিকিৎসকের মতামতর গ্রহণ করা হবে। ২০১১ সালে এক নাবালিকার ধর্ষণের মামলায় এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণটি করে উচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ১৫ বছর বয়সি এক নাবালিকার ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছিল দায়রা আদালত। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে খারিজ করে অভিযুক্তকে সাতবছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার রায় শোনায় উচ্চ আদালত। অভিযোগ ছিল, এক বিবাহিত ব্যক্তি তার গ্রামেরই এক নাবালিকাকে বারংবার ধর্ষণ করত। পাশাপাশি ধর্ষিতাকে হুমকিও দেয় সে। নির্যাতিতা গর্ভবতী হয়ে গেলে ঘটনাটি সামনে আসে। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে নির্যাতিতা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৮, ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারার অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন।
অভিযুক্ত দাবি করেছিল, ধর্ষিতার মতেই নাকি যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। তবে অভিযোগকারী পক্ষের দাবি ছিল, সেই তরুণী নাবালিকা। এর জবাবে অভিযুক্ত দাবি করেছিল, যে ডাক্তার নির্যাতিতার পরীক্ষা করে তিনি বলেন যে তাঁর বয়স ১৯ বছর। এরপর নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেয়। পরে সরকার পক্ষ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যায়। উচ্চ আদালতে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনানো হল।