সম্প্রতি এক মামলার প্রেক্ষিতে কর্ণাটক হাই কোর্ট জানিয়ে দিল যে রামি কোনও জুয়া নয়। তা সে বাজি রেখে হোক কি না রেখে হোক। রামি খেলটিকে 'দক্ষতার খেলা' বলে আখ্যা দিয়েছেন কর্ণাটকের বিচারপতি এস কৃষ্ণ কুমার। তিনি আরও পর্যবেক্ষণ করেন, অনলাইনে হোক কি সামনাসামনি বসেই হোক, রামি খেলকে দক্ষতার প্রয়োজন। তাই এটিকে জুয়া বলে আখ্যা দেওয়া যাবে না। এই খেলাটি জিততে 'ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় না' বলে জানান বিচারপতি। (আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বড় পর্যবেক্ষণ, আরও অস্বস্তিতে মমতার সরকার)
উল্লেখ্য, অনলাইন গেমিং সংস্থা 'গেমসক্রাফ্ট'কে নোটিশ পাঠিয়েছিল 'ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স ইন্টেলিজেন্স'। এর আগেও গেমসক্রাফ্টকে ২১ হাজার কোটি টাকার কর প্রদানের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কর্ণাটক হাই কোর্ট। তা সত্ত্বেও আবার গেমসক্রাফ্টকে নোটিশ পাঠায় আয়কর বিভাগের গোয়েন্দা সংস্থা। এর প্রেক্ষিতে মামলা গড়ায় উচ্চ আদালতে। সেই মামলারই শুনানি চলাকালীন রামি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপতি। এদিকে রামি ছাড়াও যেসব অনলাইন গেম 'দক্ষতার খেলা' এবং যেগুলির ফল নির্ধারণে 'ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হয় না', সেই ধরনের খেলাগুলিও জুয়া নয়।
আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনে নয়া মোড়? হকের দাবি আদায় করতে ‘চূড়ান্ত ত্যাগে’ রাজি সরকারি কর্মীরা
এর আগে জিএসটি কর্তৃপক্ষ গত ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গেমসক্রাফ্টকে একটি নোটিশ পাঠিয়ে ২১ হাজার কোটি টাকা কর মেটানোর দাবি জানায়। সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় হাই কোর্টে। সংস্থার দাবি ছিল, দক্ষতার খেলায় বাজি রাখা হলেও সেটিকে জুয়া বলে আখ্যা দেওয়া যায় না। তবে জিএসটি কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, যদি কেউ খেলার চূড়ান্ত ফলের ওপর বাজি ধরে থাকে, তাহলে সেটিকো জুয়া বলে গণ্য করতে হবে। 'স্কিল লোটো সলিউশনস লিমিটেড বনাম ভারত সরকার' মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, গেমসক্রাফ্টের প্ল্যাটফর্মে খেলা অনলাইন গেমগুলির ওপর কর ধার্য করা যাবে না। নিজের ৩২৫ পাতার রায়ে বিচারপতি জানান, সিজিএসটি আইনের সংজ্ঞায় এমন অনলাইন গেমকে জুয়া বলে আখ্যা দেওয়া যাবে না যেটি দক্ষতার ওপর নির্ভর করে খেলা হয়।