মাইসুরু আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (মুডা) জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করল কর্ণাটক হাইকোর্ট। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন তথ্য কর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণের সিবিআই চেয়ে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্তভার লোকায়ুক্ত পুলিশের কাছ থেকে সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তরের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন স্নেহময়ী। তবে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি।
আরও পড়ুন: MUDA কেলেঙ্কারিতে সিদ্দারামাইয়ার মামলায় ৩০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ED
সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ সেটি হল তাঁর স্ত্রী বিএম পার্বতীর একটি জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে মুডা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী যুক্তি দেন যে, লোকায়ুক্ত মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নাও করতে পারে। কারণ এটি একটি রাজ্যের অধীনস্থ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন হেভিওয়েট আইনজীবীরা। প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল রাজ্য সরকারের এবং সিদ্দারামাইয়ার পক্ষে ছিলেন অভিষেক মনুসিংভি। তাঁরা এই আবেদনের বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, তদন্ত অন্য কোনও সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা যেতে পারে যদি উভয় পক্ষই বিশ্বাস করে যে এটি অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে, লোকায়ুক্ত একটি সিল করা খামে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আর এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে কেউ জানেন না।
উল্লেখ্য, এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই বিজেপি সিদ্দারামাইয়ার পদত্যাগের দাবি জানায়। কংগ্রেস নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মামলাটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ঘটনায় মুডার শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, পার্বতী দেবীকে তাঁর ভাই তিন একর জমি উপহার দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হওয়া সত্ত্বেও সেখানে মুডা কাজ করে। এরপর তিনি ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু, তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিন একর জমির চেয়ে অনেক বেশি মূল্যের ১৪টি প্লট দেওয়া হয়।
গত জুলাই মাসে, কর্ণাটকের রাজ্যপাল সিদ্দারামাইয়াঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা অনুমোদন করেন। সিদ্দারামাইয়া এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কর্ণাটক হাইকোর্টে যান। তিনি যুক্তি দিয়ে জানিয়েছিলেন, মুডা তাঁর স্ত্রীকে ক্ষতিপূরণবাবদ যে জমি প্রদান করেছিল তাতে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না।
তবে, আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেয় এবং লোকায়ুক্তকে সিদ্দারামাইয়া এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, প্রতারণা এবং জালিয়াতির মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয়। কিছুদিন আগেই এই মামলার তদন্তে তিনশো কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি।