বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > হিজাব অপরিহার্য করার দাবি, 'প্রমাণ' কই? ‘সব মুসলিম মহিলা বাধ্য হবেন হিজাব পরতে’

হিজাব অপরিহার্য করার দাবি, 'প্রমাণ' কই? ‘সব মুসলিম মহিলা বাধ্য হবেন হিজাব পরতে’

হিজাব পরে মুম্বইতে আন্দোলনে মহিলারা(REUTERS) (REUTERS)

অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে বলেন, আবেদনকারীরা দাবি করছেন যে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন। তবে তাঁরা তাঁদের দাবিকে প্রমাণ করার জন্য কোনও তথ্য পেশ করেননি।

হিজাবের পক্ষে সওয়াল করা আবেদনকারীদের দাবি মানা হলে প্রতিটি মুসলিম মহিলার জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। হিজাব মামলা নিয়ে আদালতে সওয়াল জবাবের সময় এমনই যুক্তি তুলে ধরল সরকার পক্ষ। হিজাব পরে শ্রেণিকক্ষে ঢোকা যাবে না। কর্নাটকের একাধিক কলেজে এই নির্দেশিকা জারি হতেই এর বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। মামলা গড়িয়েছে কর্নাটক উচ্চ আদালতে। আপাতত মামলাটি বিচারাধীন উচ্চ আদালতে। সেখানেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের বিরোধিতার পক্ষে সওয়াল করছে রাজ্য সরকার। সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন কর্নাটক সরকারের তরফে দাবি করা হয়, হিজাবকে অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন হিসাবে ঘোষণা করার আবেদন জানানো হয়েছে। এই আবেদন মেনে নেওয়া হলে তা প্রতিটি মুসলিম মহিলাকে নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বাধ্য করবে।

প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থি এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিত এবং জেএম খাজির বেঞ্চকে অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ নাভাদগি বলেন, ‘আবেদনকারীরা চাইছেন যে ধর্মীয় রীতি হিসেবে একটি নির্দিষ্ট পোশাককে অনুমোদন দেওয়া হোক। তারা যেই ঘোষণার পক্ষে সওয়াল করছেন তাতে করে প্রত্যেক মুসলিম ধর্মাবলম্বী মহিলাকে বাধ্য করা হবে।’ অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন আরও যুক্তি দেন যে আবেদনকারীরা দাবি করছেন যে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন। তবে তাঁরা তাঁদের দাবিকে প্রমাণ করার জন্য কোনও তথ্য প্রমাণ পেশ করেননি।

মামলার শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেলসওয়াল করেন, ‘প্রথমত, এটা প্রমাণ করতে হবে যে হিজাব পরা একটি ধর্মীয় রীতি। তারপর প্রমাণ করতে হবে যে এটি একটি অপরিহার্য ধর্মীয় রীতি। তৃতীয় ধাপ হল, এটা নিশ্চিত করা যে এটি আইনশৃঙ্খলা, নৈতিকতার পরিপন্থী নয়। সব শেষে, এটা প্রমাণ করতে হবে যে এটি অন্য কোনও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী নয়।’ সরকার পক্ষের আইনজীবী এদিন আরও বলেন যে সরকারি আদেশ প্রতিষ্ঠানগুলিকে ইউনিফর্ম নির্ধারণের জন্য সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দেয়। তিনি বলেন যে কর্নাটক শিক্ষা আইনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের অবস্থান হল, ধর্মীয় কোনও চিহ্ন ইউনিফর্মে থাকা উচিত নয়।

বন্ধ করুন