পড়ুয়ারা কলেজে হিজাব পরতে পারবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কলেজ উন্নয়ন কমিটিকে দিয়েছিল কর্নাটক সরকার। গত ৫ ফেব্রুয়ারি নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত সঠিক বলে আদালতে দাবি করল কর্নাটক সরকার। পাশাপাশি কর্নাটক সরকার এটাও যোগ করেছে যে হিজাব নিষিদ্ধ করা সংবিধানের অধীনে দেওয়া অধিকার লঙ্ঘন করে না। সরকার আরও বলে যে যদি কলেজ উন্নয়ন কমিটি হিজাবের অনুমতি দেয় এবং পরে কমিটির সেই সিদ্ধান্তকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানায়, তাহলে কমিটির সিদ্ধান্তকে পালটে দেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।
শুক্রবার হিজাব মামলার শুনানি চলাকালিন কর্নাটক হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং নবদগী দাবি করেন যে সরকারি নির্দেশিকায় আবেনকারীদের কোনও অধিকার খর্ব হচ্ছে না। তবে এর প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত সরকার পক্ষের আইনজীবীকে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশিকায় বলা যে এই নির্দেশিকা সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করে না। আপনাদের এটা বলার কী দরকার ছিল?’
আদালতের প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘রাজ্যের সচেতন অবস্থান হল আমরা ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা বলতে পারতাম হিজাব ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী এবং এটা সঠিক নয়। কিন্তু আমরা তা করিনি। এটা রাজ্যের অবস্থান যে আমরা হস্তক্ষেপ করতে চাইনি।’
তবে এরপর উচ্চ আদালত প্রশ্ন করে, কলেজ উন্নয়ন কমিটি যদি হিজাবের অনুমতি দেয়, তাহলে কী সরকার সেই সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে? এর জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, যদি কলেজ উন্নয়ন কমিটি হিজাবের অনুমতি দেয় এবং পরে কমিটির সেই সিদ্ধান্তকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানায়, তাহলে কমিটির সিদ্ধান্তকে পালটে দেওয়ার অধিকার সরকারের রয়েছে। এরপর সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অবস্থী বলেন, ‘আপনারা একবার বলছেন উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হবে। আবার এই নির্দেশিকা জারি করলেন। এই নির্দেশিকা প্রয়োজনের আগেই জারি করলেন না আপনারা?’