কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক ঘিরে কয়েক মাস আগেই উত্তাল হয়েছিল দক্ষিণের এই রাজ্য। এরপর নতুন করে বুধবার কর্ণাটকের কয়েকজন ছাত্রী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁদের অনুরোধ, যাতে পরীক্ষার সময় তাঁদের হিজাব পরে পরীক্ষার হল- এ প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এই আর্জি পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, খুব শিগগিরই এই মামলার শুনানিতে তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চকে নির্ধারিত করা হবে।
এর আগে, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এই ইস্যুতে একটি মামলায় দুই বিচারপতির বেঞ্চের আওতায় শুনানি হয়। আর তাতে দুই বিচারপতির থেকে ভিন্ন বার্তা আসে। এরপর তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলাকে আওতাধীন করার বার্তা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এর আগে ২৩ জানুয়ারি হিজাব নিয়ে একই ধরনের আর্জি আরও কয়েকজন পড়ুয়া পেশ করেছিলেন। তার জন্যও তিন বিচারপতির বেঞ্চ নির্ধারণ করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবী সাদান ফারাসত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানান, ৯ মার্চ কর্ণাটকের আবেদনকারী ওই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা আসতে চলেছে। আর সেই সময় হিজাব পরে কোনও পরীক্ষার হল-এর ভিতর ঢুকতে দেওয়া নিয়ে প্রবেশের নিয়ম নেই কারণ, রাজ্যসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে প্রবেশ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। সেই আর্জির সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি নজরে রাখবেন ও এই আর্জির প্রেক্ষিতে তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করবেন। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে কর্ণাটকে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভিন্ন মত আসে দুই বিচারপতির তরফে। একজন বিচারপতি বলেছিলেন, রাজ্যসরকার ওই ইউনিফর্ম নিয়ে নির্দেশ দিতে পারে,অন্য বিচারপতি বলেছিলেন, হিজাব পরা না পরার বিষয় নির্ধারিত হতে পারে না রাজ্যের তরফে। ( '১০ জন মুসলিম মেয়েকে ফাঁদে ফেলুন, যদি...', নয়া বিতর্কে প্রমোদ মুথালিক)
প্রসঙ্গত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরে প্রবেশ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল কর্ণাটকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানের এক কলেজে যে ছাত্রীরা হিজাব পরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের প্রবেশ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। ঘটনা পরম্পরা যায় আইনি মামলার দিকে। কর্ণাটক হাইকোর্টে ওঠে মামলা। রাজ্যসরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই, অনেকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলা আপাতত সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে যেতে চলেছে বলে খবর।