কর্ণাটক হাইকোর্টে চলছে হিজাব বিতর্ক ঘিরে মামলা। মামলায় বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষের আইনজীবীরাই নিজেদের বক্তব্যের সাপেক্ষে পেশ করছেন যুক্তি। এই নিয়ে ষষ্ঠদিনে পড়ল কর্ণাটক হিজাব বিতর্কের মামলা। অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ নাভাদগি কর্ণাটক সরকারের তরফে সওয়াল করেন হাইকোর্টে।
এদিন কর্ণাটকের সরকারের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল নভাদগি বলেন, সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কারণ ইসলামের ধর্মীয় বিধির অপরিহার্য অঙ্গ নয় হিজাব পরিধান করা। এছাড়াও সরকার মনে করছে না যে, মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ১৯ (১) এর ধারা এই ইস্যুতে কার্যকর হয়। কর্ণাটক রাজ্য সরকার জানিয়েছে, হিজাবের অনুশীলনকে সাবরিমালা এবং শায়রা বানো (তিন তালাক) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা ব্যাখ্যা করা সাংবিধানিক নৈতিকতা এবং ব্যক্তিগত মর্যাদার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
এছাড়াও হিজাব মামলা ঘিরে কর্ণাটক হাইকোর্টে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, যদি হিজাব পরিধান ইস্যুতে ওই প্রতিবাদী পড়ুয়াদের অভিযোগ বা ক্ষোভ থাকত তাহলে তারা সরকারকে তারা সরাসরি জানাত। আদালতে কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে, 'যদি এটা নিছক ইউনিফর্মের মামলা হত, তাহলে তারা আমাদের কাছে আসত...।' উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাট সরকার একটি নির্দেশে জানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন পোশাক পরা যাবে না যা জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করে।এই নির্দেশের নেপথ্যের যুক্তি পেশের বার্তা দিয়েছেন চিফ জাস্টিস। আজ আদালতে কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে, উডুপির পিই কলেজ, যেখানে গোটা বিতর্কের সূত্রপাত, সেখানে বহুদিন আগেও ইউনিফর্ম ছিল। তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টায়।