হিজাব মামলায় কর্ণাটক হাই কোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে মামলাকারী ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার মামলাকারীদের আইনজীবী জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানান। তবে সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানির জন্য কোনও নির্দিষ্ট তারিখ দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এর আগে হোলির ছুটির পর তারিখ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই প্রেক্ষিতে এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত দ্রুত শুনানির জন্য তারিখ চান। তবে সেই তারিখ দেননি প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা।
এদিন মুসলিম ছাত্রীদের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত বলেন, ‘এই মামলার শুনানি শীঘ্রই শুরু করুন। এর জেরে পরীক্ষা প্রভাবিত হচ্ছে।’ জবাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পরীক্ষার সঙ্গে হিজাবের কোনও সম্পর্ক নেই। চাঞ্চল্য ছড়াবেন না।’ এদিকে পড়ুয়াদের দাবি তাদের হিজাব পরে ঢুকতে না দিলে তারা পরীক্ষা বয়কট করবেন। অপরদিকে সরকারের তরফেও জানানো হয়েছে, যেই পরীক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকবেন, পরবর্তীতে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে না।
জরুরি শুনানির আবেদনের জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতির সামনে মামলাটির উল্লেখ করার কথা ছিল আজ। সেই মতো অ্যাডভোকেট কামাত নিজের যুক্তি পেশ করেন আজ। তিনি বলেন যে ২৮ মার্চ থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের হিজাব ছাড়া শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে না দেওয়া হলে তারা এক বছর হারাবে। কর্ণাটক হাই কোর্ট এর আগে রায় দেয়, হিজাব মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। সেই ক্ষেত্রে স্কুল বা কলেজের ইউনিফর্ম মেনেই পড়ুয়াকে শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে হবে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পড়ুয়ারা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।