‘করোনাভাইরাস কার্ফু’ সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সংক্রমণ। তাই এবার সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটল কর্নাটক। আগামী সোমবার সকাল ছ'টা থেকে ২৪ মে সকাল ছ'টা পর্যন্ত রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন থাকবে।
প্রাথমিকভাবে অবশ্য ‘লকডাউন’ শব্দ ব্যবহারে ব্যাপক অনীহা ছিল বি এস ইয়েদুরাপ্পা সরকারের। করোনার সংক্রমণ বাগে আনতে সরকারিভাবে ১২ মে পর্যন্ত একগুচ্ছ বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা বাড়বাড়ন্তের জেরে ‘লকডাউন’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে অনীহা ছিল, তা কাটিয়ে উঠতে বাধ্য হয় কর্নাটক। বেঙ্গালুরুতে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা বলেন, 'রাজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ঢেউ। যে করোনাভাইরাস কার্ফু জারি করা হয়েছিল, তাতে সংক্রমণ এবং মৃত্যু হার যতটা কমবে বলে আশা করা হয়েছিল, সেরকম ফল মেলেনি। সেই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে এবং মৃত্যুর সংখ্যা কম করতে (আরও) কড়া বিধিনিষেধ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।'
যদিও এতদিন যে বিধিনিষেধ কার্যকর ছিল, তার সঙ্গে সম্পূর্ণ লকডাউনের নিয়মকানুনের খুব একটা ফারাক নেই। এখনও সকাল ছ'টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দোকান এবং প্রতিষ্ঠান খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেইসবের মধ্যে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব পি রবি কুমারের পরস্পরবিরোধী বয়ান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মুখ্যসচিব বলেন, ‘এটা লকডাউন নয়, এটা বিধিনিষেধ। (বর্তমানে যে বিধিনিষেধ কার্যকর আছে, তার সঙ্গে লকডাউনের) পার্থক্য হল যে এবার দিনের বেলায় গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে না।’ তার জেরে আগামিদিনে আরও সংশোধনী জারি করা হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
উল্লেখ্য, শুক্রবার কর্নাটকে করোনায় ৫৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র রাজধানী বেঙ্গালুরুতেই ৩৪৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। মৃত্যুর হার রেকর্ড ১.২১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। শুক্রবার ৪৮,৭৮১ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট ঠেকেছে ৩০.২৮ শতাংশে। সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা বেঙ্গালুরুতে। শুক্রবার সেখানেই প্রায় ২২,০০০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।