বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। শুক্রবার কর্নাটকের পুলিশ এই এফআইআর দায়ের করেছে তেজস্বী সূর্যের বিরুদ্ধে। এই তেজস্বী সূর্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। যা পরে ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা খবরে তেজস্বী সূর্য দাবি করেন, ওয়াকফ বোর্ড এক গরিব কৃষকের জমি জোর করে নিয়ে নেয়। আর তারপরই সেই কৃষক আত্মহত্যা করেন। এই খবর ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এখানে কংগ্রেস সরকার। তাই সরকার বিরোধী খবর চাউর করে তিনি সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তেজস্বী সূর্যের ওই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো।
তেজস্বীর পোস্ট করা খবরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে তেজস্বী সূর্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে স্থানীয় কয়েকটি নিউজ পোর্টালের। এই বিষয়টি সামনে আসে যখন জগদম্বিকা পাল বিজয়পুরার হাব্বেলি সফরে আসেন। জগদম্বিকা পাল ওয়াকফ সংশোধনী বিলের যৌথ সংশোধনী কমিটির চেয়ারম্যান। তেজস্বী সূর্য গোটা সফরে ছিলেন জগদম্বিকা পালের সঙ্গে। তেজস্বীর বিরুদ্ধে হাভেরি জেলায় এফআইআর হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫৩(২) ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মানুষের মধ্যে শত্রুতা তৈরি করার জেরেই এই এফআইআর।
আরও পড়ুন: বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠক কবে? বড় তথ্য দিলেন বিধায়ক বিকাশ
গত ৭ নভেম্বর তারিখে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি নিউজ পোর্টালের লিঙ্ক শেয়ার করেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। সেই খবরে উল্লেখ করা হয়েছিল, হাভেরি জেলায় এক কৃষকের জমি দখল করে ওয়াকফ বোর্ড। যার জেরে ওই কৃষক আত্মহত্যা করেন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এবং সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী বি জেড জামির আহমেদ খানকে ট্যাগ করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির এই তরুণ সাংসদ। যদিও পরে জানা যায় ওই খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। এখন বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটি মুছে ফেলেন তেজস্বী সূর্য।
কিন্তু এক্স হ্যান্ডেল থেকে মুছে ফেললেও বিতর্ক থেমে নেই। কারণ পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। তেজস্বী সূর্য এখন চুপ করে গিয়েছেন। অথচ এই ভুয়ো খবর যখন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন তখন কড়া ভাষায় বিঁধেছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে। কর্নাটকে মানুষের জীবন এতটাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে যে, একটা দিন কাটানোও অসম্ভব হয়ে উঠছে বলে তোপ দাগেন তেজস্বী। হাভেরি জেলার পুলিশ সুপার জানান, ঋণ ও চাষ করে লোকসান হওয়ার জেরেই ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি আত্মঘাতী হন ওই কৃষক। এটার সঙ্গে ওয়াকফ বোর্ডের কোনও যোগ নেই।