মুডা মামলায় বিরাট স্বস্তি পেলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কারণ, কর্ণাটক লোকায়ুক্ত পুলিশ এই ঘটনায় 'বি' রিপোর্ট তৈরি করেছে। যার অর্থ হল, 'মাইসুরু আরবান ডেভলপমেন্ট অথোরিটি' (মুডা)-এর অধীনে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযুক্ত করে ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যে জমি দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পায়নি লোকায়ুক্ত পুলিশ।
প্রসঙ্গত, যেকোনও মামলায় শুনানির আগে পুলিশের তরফে যে চার্জশিট পেশ করা হয়, সেখানে যদি 'বি' রিপোর্ট পেশ করা হয়, আইনি পরিভাষায় তার অর্থ দাঁড়ায়, মূল অভিযোগকে খারিজ বা বাতিল করা।
অতএব, মুডা জমি দুর্নীতি মামলায় লোকায়ুক্ত পুলিশের পক্ষ থেকে সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের একেবারই ক্লিন চিট দিয়ে দেওয়া হল। খুব সম্ভবত, বৃহস্পতিবারই (২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) এই রিপোর্ট নগর আদালতে পেশ করা হবে। একইসঙ্গে, নিয়ম অনুসারে বুধবারই (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) এই মামলার আবেদনকারী বা মামলাকারী সমাজকর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণাকে নোটিশ পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই মামলাটি এবার বন্ধ বা 'ক্লোজ' করা হচ্ছে। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
এই নোটিশের প্রতিলিপি হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে এসেছে। তাতে স্পষ্ট ভাষায় লেখা হয়েছে, অভিযুক্ত নম্বর ১ থেকে অভিযুক্ত নম্বর ৪ পর্যন্ত -এঁদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ধোপে টিকছে না। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের স্বপক্ষে যথাযথ প্রমাণই পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গেই উল্লেখ করা হয়েছে, 'এই মামলার ধরন দেওয়ানি, তাই এক্ষেত্রে কোনও ফৌজদারি তদন্তের ওয়ারেন্ট দেওয়া হচ্ছে না।'
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ১১/২০২৪ নম্বরের অধীনে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাতে অভিযুক্ত নম্বর ১ থেকে শুরু করে অভিযুক্ত নম্বর ৪ - এই ক্রমান্বয়ে যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা হলেন - যথাক্রমে - মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী বি এন পার্বতী, সিদ্দারামাইয়ার আত্মীয় মল্লিকার্জুন স্বামী এবং ডি দেবরাজু নামে জমির একজন আসল মালিক।
সংশ্লিষ্ট নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলিতে হয় আইনের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে অথবা সেগুলি নিয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করার মতো যথাযথ প্রমাণের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
সেইসঙ্গে মামলাকারীর উদ্দেশে এও বলা হয়েছে যে - 'আপনি যদি এই ফলাফলের বিরোধিতা করতে চান, তাহলে এই নোটিশ পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনি সংশ্লিষ্ট বিচারকের এজলাসে নিজের প্রতিবাদ নথিভুক্ত করতে পারেন।'